
ইঞ্জিনিয়ার জালাল উদ্দিন, বর্তমানকণ্ঠ, দাম্মাম, সৌদি আরব : অমর শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভির্য্যে পালন করার লক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়জন করে দাম্মাম মহানগর বিএনপি । সংগঠনের সম্মানিত সভাপতি ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে স্হানীয় আল খাইয়াম অডিটোরিয়ামে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার উদ্দিন । অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলোয়াতের পর ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্বা ও তাদের আত্বার মাগফিরাত কামনা করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি দাম্মাম প্রাদেশিক কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সিনিয়র সহসভাপতি শওকত কামাল, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন দাম্মাম প্রাদেশিক কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিপন । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দাম্মাম প্রাদেশিক কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি – প্রকৌশলী মহসিন হাবীব, সহ-সভাপতি- মহিউদ্দিন মহিম, সহ-সভাপতি – শামছুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি – এস এম আসলাম, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনিরুজামান বাদল, দাম্মাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী জালাল উদ্দিন, দাম্মাম কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সাগর, আল খোবার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম মুজুমদার, সদস্য সচিব নূর সাফা টিটু, বিএনপি দাম্মাম মহানগর সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন লিটন, প্রবাসী বিএনপি নেতা আব্দুল সালেক প্রমুখ ।
মহান শহীদ দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, দাম্মাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোস্তফা, পূর্বাঞ্চল প্রদেশ দাম্মাম কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শরিফ মাহমুদ দূর্জন, দাম্মাম মহানগর বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল রানা তালুকদার । শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক খোরশেদ আলম আকাশ, আরো বক্তব্য রাখেন, দাম্মাম মহানগরস্থ বিভিন্ন ইউনিট নেতৃবৃন্দের মধ্যে ২য় শিল্পাঞ্চল সভাপতি আব্দুল হান্নান, বাদিয়া সেক্রেটারি মাসুম আহাম্মেদ, জহিরুল ইসলাম, এস কে রনি, ইমরান শেখ, পেয়ারু হোসেন, রাবিয়া সভাপতি সোহেন আহাম্মেদ,মিজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আবুল কালাম, মোহাম্মদ রফিক,বাদল সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একুশ মানে মাথা নত না করা । ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি সেদিন ‘মায়ের ভাষার’ মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পায় নব প্রেরণা। এরই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই। সালাম বরকত, রফিক, জব্বারকে জানাই লাল সালাম। ১৯৫২ সাল থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত স্বাধীনতার লক্ষ্যে পৌছে দেওয়ার জন্য যে সব আন্দোলন হয়েছে, যাদের প্রানের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি রাষ্ট্র ভাষা বাংলা ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, তাদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা চাই গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, ব্যক্তি ও বাক স্বাধীনতা, এক স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে স্বাভাবিক বাঁচার গ্যারান্টি । আইন, বিচার ও সংবিধানকে রক্ষার জন্য আরও একটি ন্যায়ের যুদ্ধে শরিক হওয়ার জন্য দেশপ্রেমিক জনতাকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। মহান একুশে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মাসে এই অঙ্গীকারকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে ।