
স্নিগ্ধা বুলবুল, জার্মান, বর্তমানকন্ঠ ডটকম : বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, জার্মান শাখার সভাপতি ইউনুস আলী খানের সভাপতিত্বে জার্মানীর মাইনজ শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপন করা হয়। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্নিগ্ধা বুলবুল এবং আতিকুর রহমান সবুজের সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সর্ব ইউরোপীয়ান বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মিসেস নাহার মমতাজ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন স্পেন থেকে আগত কয়েস খান। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাইনজ শহরের মেয়র জোহানেস কোলম্যান, লুকাস আগস্টিন, মিস্টার মিলকে এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের মাহবুবুল হক (উপদেষ্টা) , আবু সেলিম(উপদেষ্টা), আজাহার হোসাইন (উপদেষ্টা), মনিরুল আলম (সিনিয়র সহ-সভাপতি), হাকিম টিটু (সহ-সভাপতি), বদরুল ইসলাম (সহ-সভাপতি), ইমরান ভুঁইয়া (সহ-সভাপতি), জনাব ইকবাল, জনাব মহসিন, জনাব খোকন, জনাব ফিরোজ, ড. অরুণ ব্যানার্জি, জনাব জিল্লুর রহমান সহ আরো অনেকে।
কুরআন তিলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব। কুরআন তিলওয়াত করে ছোট্ট সোনামনি তামিম হোসাইন। এরপর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের জন্য সন্মান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সন্মান ও শ্রদ্ধা, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের প্রতি সন্মান এবং সাম্প্রতিক সময়ে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতির পিতার জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে আগত শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করেন উপদেষ্টা মাহবুবুল হক। বাণীটি পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
আলোচনা পর্বে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও তার কর্মময় জীবন সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন আজাহার হোসাইন, আবু সেলিম, প্রফেসর ড. শরীফুল ইসলাম, লুকাস আগস্টিন, জোহানেস কোলম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, মমতাজুল ফেরদৌস জোয়ারদার, জাকির হোসেন, কয়েস খান, মিসেস নাহার মমতাজ এবং সবশেষে সভাপতি ইউনুস আলী খান তার সমাপনী বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে ছোট্ট সোনামনিদেরকে নিয়ে কেক কাটেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, জার্মান শাখার সভাপতি, প্রধান অতিথি, সংগঠনটির উপদেষ্টা, সহ-সভাপতি, অন্যান্য নেতা ও কর্মীবৃন্দ। এ সময় শিশুদের আনন্দ ও উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো। আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু ও তার কর্মমুখর জীবন সম্পর্কে জানতে সংগঠনের এই প্রয়াস।
সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা কনা ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমবেত কন্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ছোট্ট সোনামনি মিতি, অসাধারণ কন্ঠের অধিকারিণী তাহমিনা ফেরদৌসী, কোকিলকন্ঠী কনা ইসলাম, গানের পাখি আব্দুল মুনিম, জালাল আবেদিন ও কাইফ খান। কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও আবৃত্তিকার ইয়াসমিন জোবায়দা মীর ইমি, সুজিত ভাই সহ আরো অনেকে। খন্জনী বাজিয়েছেন জনাব মন্জু এবং তবলায় ছিলেন জনাব সুজাত।
বৈকালিক নাস্তা ও সান্ধ্যভোজের পর সংগঠনের সভাপতি জনাব ইউনুস আলী খান আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।