সংবাদদাতা, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, কানাডা : টরেন্টো স্কুল বোর্ড ট্রাস্টি নির্বাচনে ১৮ নং ওয়ার্ডে একমাত্র বাঙালি প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন ফেরদৌস বারী । বাঙালী কমিউনিটিসহ আরও ১২টি কমিউনিটির প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে এডভান্স ভোটে এগিয়ে ছিলেন ফেরদৌস বারী। তার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিদিন যোগ দিয়েছেন নতুন নতুন কমিউনিটির প্রতিনিধিরা। টরন্টো স্কুল বোর্ড এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় মুগ্ধ হয়েছেন বিভিন্ন দেশের বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিকরা।
জানা যায়, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, চীন, ফিলিপাইন, নেপাল, আরব দেশসমূহ, ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি, ইথিওপিয়া, উগান্ডাসহ স্থানীয় কানাডিয়ানরাও তাকে প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়েছেন। ইতিমধ্যে এসস কমিউনিটির নেতারা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। এমনকি তার ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার হাতে নিয়ে তারা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডার টরন্টোতে শিক্ষা বিস্তারে তার অবদানের কারণে সবার এমন আগ্রহ বলে মন্তব্য করছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক মহল। এছাড়াও তিনি ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি অব কানাডার সাথেও জড়িত। ফলে তার নির্বাচনী পালে দলীয় সমর্থনও যোগ হয়েছে।
এসব বিষয়ে ফেরদৌস বারী বলেন, টরন্টো সিটির ১৮ নং ওয়ার্ডে শিক্ষা বিস্তারে আমি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছি। তবে এলাকাটি অনেকটা পিছিয়ে। কারণ এখানকার ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা অতীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে তেমন কাজ করেননি। টরন্টো সিটিতে ২২জন ট্রাস্টি সদস্য নির্বাচিত হন। এদের মতামতের প্রেক্ষিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন কাজ করতে পারেন। বলতে গেলে অনেক মর্যাদা রয়েছে এ পদে। তাই স্ব স্ব এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ সার্বিক কার্যক্রমে ট্রাস্টি সদস্যের ভূমিকা অগ্রগণ্য।
তিনি আরও বলেন, আমি গণিত ও বিজ্ঞানের প্রসারে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছি। এমনকি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালিয়েছি। ফলে এ ওয়ার্ডের সকল কমিউনিটির প্রতিনিধিরা আমাকে প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়ে আসছেন। তাদের সমর্থন নিয়ে আমি নির্বাচন করেছি।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ এর উত্তর চাষাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌস বারী।