বাহার উদ্দিন বকুল, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, জেদ্দা, সৌদি আরব : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভোগ্যপণ্যের প্রদর্শনীর জন্য সৌদি আরবের বাণিজ্য নগরী জেদ্দার সেন্টার ফর ফোরাম এন্ড ইভেন্টস এ চলছে চার দিনব্যাপি ৬ ষ্ঠ ফুডেক্স – আন্তর্জাতিক ফুড অ্যান্ড ড্রিংক এক্সিবিশন ২০১৮। এতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫২ টি দেশ, প্রদর্শন করছে ৫ শতাধিক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পাশাপাশি সৌদি নাগরিক সহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের কাছে বাংলাদেশি ৭ টি কোম্পানি তাদের উৎপাদিত এবং প্রক্রিয়াজাত পন্য নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছে।
জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন, মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের স্টল সমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় উন্নতমানের ও সুস্বাদু বলেই সৌদি আরবে দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশি পণ্য সৌদিদের কাছে আকর্ষনীয় ও গ্রহনযোগ্য করে তুলতে সৌদি সরকারের সাথে আলোচনাসহ সব ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশী পন্যের রফতানি বৃদ্ধি করার জন্যই এই মেলায় সাতটি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সেলর ডঃ মোহাম্মদ আবুল হাসান জানান, গত ১ বছরে ৫লাখ বাংলাদেশি নতুনভাবে দেশটিতে এসেছেন। জনশক্তি রপ্তানীর পাশাপাশি সৌদি আরবে বাংলাদেশি পণ্যের একটি বড় বাজার তৈরী করতে এই জাতীয় এক্সিবিশন ভুমিকা রাখবে বলে আশা করেন।
এক্সিভিশনে জননেত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত ১০টি বিশেষ উদ্যোগের বই বিতরণ করে তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে অচিরেই উন্নত দেশে পরিনত হবে ।
সৌদি বাংলা বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ আব্দুর রহমান মনে করেন, বাংলাদেশের আরও ১০টি কোম্পানি যদি সৌদি আরবে মার্কেটিং করে তবে পন্যেের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। সৌদি আরবে প্রায় বিশ লক্ষ প্রবাসী রয়েছে, এর মধ্যে ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি, ইন্দনিশিয়, ফিলিপিনি, মিশরি, ইয়েমেনি সকল দেশের মানুষ বাংলাদেশী পণ্য সাদরে গ্রহন করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আসা পণ্যের মান উন্নতমানের এবং এবং যেসকল নতুন কোম্পানি এদেশে তাদের পণ্য বাজারজাত করবে তারা যেন আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সৌদি আরবে ৯৫% খাদ্য দ্রব্য আসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে, আর সে তুলনায় বাংলাদেশের পন্য অনেক কম। তাই, সৌদি আরবে ভোগ্য পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করতে পারে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
এ বছর ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এক্সিবিশন শেষ হবে ১৫ নভেম্বর । বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিনা মুল্যে পরিদর্শন করা যাবে এক্সিভিশন।
গেল সোমবার সন্ধ্যায় এই এক্সিবিশন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন নওয়াফ বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ ।