স্পোর্টস ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: শেষ ওয়ানডেতে ডেভিড ওয়ার্নার দারুণ শতকের পরও হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা এড়াতে পারলো না অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ৩১ রানে।
বুধবার কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে ৮ উইকেটে ৩২৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ২৯৬ রানেই থেমে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকরা ৫২ রানে তিন উইকেটে হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল। তবে চতুর্থ উইকেটে রাইলি রুশো ও জেপি ডুমিনির ১৭৮ রানের জুটিতে বিশাল সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সিরিজে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারে তৃতীয় ওয়ানডে শতক করা রুশো ১২২ রান করেন। ১১৮ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি। আর ৭৫ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৭৩ রান করেন ডুমিনি।
অস্ট্রেলিয়ার জো মেনি ও ক্রিস ট্রেম্যাইন ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে একাই লড়া ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে আসে অস্ট্রেলিয়ার মোট সংগ্রহের অর্ধেকেরও বেশি রান। এই সিরিজে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারে নবম ওয়ানডে শতক করার পথে ১৭৩ রান করেন তিনি।
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে এই মাঠে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হতো অতিথিদের। সে লক্ষ্যে শুরুটা খারাপ ছিল না, অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে ৭২ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। যদিও এর প্রায় পুরোটাই তার একার অবদান। ইমরান তাহিরের বলে ফিঞ্চ (৪০ বলে ১৯) বোল্ড হলে ভাঙে ১৩.৪ ওভার স্থায়ী জুটি।
ইনিংসের বাকি সময়টাতেও এই একই চিত্র। এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালিয়ে গেলেন ওয়ার্নার, আর দেখলেন আরেক দিকে সতীর্থদের যাওয়া আসা। অবশেষে ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের রান আউটে অস্ট্রেলিয়ার শেষ আশাটুকুও শেষ হয়ে যায়।
প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৩৬ বলের মারমুখী ইনিংসে ২৪টি চার মারেন ওয়ার্নার। অবশ্য ১১ রানে স্লিপে একবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি। অতিথিদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে করেছেন মিচেল মার্চ ও ট্র্যাভিস হেড।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির, কাগিসো রাবাদা ও কাইল অ্যাবট ২টি করে উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় ব্যবধানে সিরিজ জয়। ২০০৯ সালে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ এ জিতেছিল প্রোটিয়ারা।
ম্যাচ সেরা হন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার এবং সিরিজ সেরা হন দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো।