অমর ডি কস্তা,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পূর্ণকলস গ্রামে মাদকাসক্ত একটি সংঘবদ্ধ দলকে গাঁজা সেবনে বাধা দেয়ায় মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (৩০) নামে এক সেনাবাহিনীর সদস্য ও তার বড় ভাই মোহাম্মদ জালাল (৩৪) কে রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে দুর্বত্তরা। সেনা সদস্য জাহাঙ্গীরকে মুমূর্ষু অবস্থায় দয়রামপুর ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতাল ও জালালকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বড়াইগ্রাম থানায় একটি দায়ের করা হয়েছে। আহত উভয়ের বাড়ি পূর্ণকলস গ্রামে ও পিতার নাম মোহাম্মদ হোসেন আলী।
থানা পুলিশ ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাশ্ববর্তী মোহাম্মদ রফিকের বাড়ির ছাদে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিয়মিত গাঁজার আসর বসতো। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জালাল তাঁর কিছু বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ওই গাঁজার আসর বন্ধ করার জন্য গাঁজাসেবীদের শাসিয়ে আসে। এনিয়ে ওই সময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরের দিন শুক্রবার সকালে সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর ময়মনসিংহ ক্যন্টনমেন্টের নিজ কর্মস্থল থেকে ছুটিতে বাড়িতে আসলে দুই ভাই মিলে গ্রামের বড় মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে যায়। পরে বাড়ি ফেরার পথে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা পেছন দিক থেকে জালালের উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন জাহাঙ্গীর। দুর্বৃত্তরা লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে উভয়ের মাথায় উপর্যুপরী আঘাত করলে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। মারাত্নক আহত অবস্থায় তাদেরকে দয়রামপুর ক্যান্টনমেন্ট ও নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সেনা সদস্য জাহাঙ্গীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার খান বর্তমানকণ্ঠ ডটকমকে জানান, এ ব্যাপারে পাশ্ববর্তী অর্জুনপুর গ্রামের মিঠু (১৮), আশরাফুল (২০) ও আবু বকর (৩২)সহ ৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।