নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:‘পড়াশুনা করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’। এই প্রবাদটি আমরা ছোটবেলায় কম-বেশি সবাই শুনেছি। কালের বিবর্তনে ঘোড়া হারিয়ে গেলেও গাড়ি হয়ে উঠেছে বেশ জনপ্রিয়। সেদিনের সেই ঘোড়ার বিকল্পই হয়ে ওঠেছে আজকের ইঞ্জিনচালিত চাকাওয়ালা গাড়ি। এই সময়ে প্রতিটা মানুষেরই যেন স্বপ্ন আমার একটি নিজস্ব গাড়ি থাকবে। কিন্তু মধ্যবিত্তদের স্বপ্নে সব সময়ই বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ।
আমাদের দেশে নতুন গাড়ির চওড়া দামের কারণে মধ্যবিত্তরা তা কিনতে সাহস পান না। তবে হ্যাঁ, যাদের গাড়ির স্বপ্ন আছে সামর্থটা একটু কম তাদের জন্যই রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতি শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বসে ‘কার হাট’। যার স্লোগানই হচ্ছে ‘স্বপ্ন এবং সুযোগ’।
মধ্যবিত্ত মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা করেই ১৯৯৯ সালে এই হাটটির পথচলা শুরু বলে ব্রেকিংনিউজকে জানান হাটের প্রধান ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (সিইও) খন্দকার ওমর ফারুক।
হাট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রতিটা গাড়ির কাগজপত্র চেক করেই আমরা গাড়ি হাটে প্রবেশ করাই। যাতে করে ক্রেতারা নিশ্চিন্ত মনে গাড়ি কিনতে পারেন।’
এছাড়া সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের রয়েছে একদল দক্ষ কর্মী। যার ফলে টাকা-পয়সা লেনদেন করা যায় নিশ্চিন্তে।’ হাটে একসঙ্গে প্রায় ১৩৫ গাড়ি রাখা যায় বলে জানান তিনি।
হাট ঘুরে দেখা য়ায়, নোয়া, মিতসুবিসি, টয়োটার এক্স-করলা, জি-করলা, প্রিমিও,অ্যালিয়ন, প্রবক্সসহ নানা মডেলের গাড়ি। এই ধরনের গাড়িগুলোর দাম ৪-২০ লাখ টাকার মধ্যেই।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে সিফাত এসেছে গাড়ি কিনতে। বাজেটের মধ্যে গাড়ি পছন্দ হলেই নিয়ে নিবেন বলে জানান তিনি। হাটে কেন আসা? এমন প্রশ্ন করতেই তিনি জানান, একসঙ্গে অনেক গাড়ি এখানে দেখা যায়। তাই গাড়ি পছন্দ করার ক্ষেত্রে হাতে অপশন থাকে অনেক। এছাড়া কাগজপত্রের নিশ্চয়তা তো আছেই।
উত্তরা থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে গাড়ি নিয়ে এসেছে রবিউল। তিনি জানান গাড়ির গায়ে দাম লেখাই আছে। কিছুটা কম হলেও বিক্রি করে দিবো। কোনো ঝামেলা ছাড়া গাড়ি বিক্রির উদ্দেশ্যেই হাটে আসা বলে জানান তিনি।