লাইফ স্টাইল ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: শরীরের অন্যান্য অঙ্গের প্রতি যতটা যত্ন করি দাঁতের ক্ষেত্রে ততটাই উদাসীনতা দেখাই। নানা অনিয়মের কারণে অনেক সময় দাঁতের ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও দাঁত এবং মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়াঘটিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এমন কিছু  উপায় রয়েছে যেগুলো মেনে চললে দাঁতকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

নিয়মিত ব্রাশ করা: দাঁতের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে প্রথমেই যে বিষয়টির নিয়মিত মেনে চলা উচিত তা হলো প্রতিদিন দুইবার ব্রাশ করা। সকালে ব্রাশ করার পাশাপাশি রাতেও খাবার পরে ব্রাশ করা জরুরি। এতে মাড়ি ও দাঁত দুটোই ভাল থাকে। পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

* ভাল করে মুখ ধোয়া: যেকোন খাবার খাওয়ার পরেই মুখ জল দিয়ে ভাল করে ধোয়া উচিত। মিষ্টিজাত বিভিন্ন খাবার, চকলেট প্রভৃতি খাওয়ার পরে মুখে জল নিয়ে কুলকুচি করা উচিত। তা না হলে দাঁতের মধ্যে লেগে থাকা খাবারের মধ্য ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বেড়ে যায়।

* নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা: দাঁত এবং দাঁতের সুরক্ষার জন্য নিয়মিত দন্ত্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে দাঁতের জন্য যা যা করণীয় তা চিকিৎসকের কথা মতো মেনে চলা উচিত। অনেক সময় ব্রাশ করার পরেও দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থেকে য়ায়। তার সঠিক পরিচর্যার জন্য দাঁতের পরীক্ষা করনো জরুরি।

* পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: খাবারের তালিকায় বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলি দাঁতের সুরক্ষার জন্য ভাল। যে সমস্ত ফল এবং সবজিতে ফাইবার রয়েছে সেই খাবারগুলি দাঁতের জন্য ভাল। এছাড়াও ডিম, দুধ, বাদাম প্রভৃতি খাদ্য দ্রব্য দাঁতের সুরক্ষায় এবং এনামেল তৈরিতে সাহায্য করে।

* ঠাণ্ডা পানীয় খাবার সময় স্ট্র ব্যবহার করা: যে কোন ধরনের ঠাণ্ডা পানীয় খাবার সময়ে স্ট্র ব্যবহার করা উচিত। বাজার থেকে যে সমস্ত পানীয় আমরা কিনে খাই তা খাওয়ার সময়ে স্ট্র ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয় অনেকটাই রোধ করা সম্ভব। কেননা স্ট্র দিয়ে ঠাণ্ডা পানীয় খাবার সময়ে তা সরাসরি দাঁতের সংস্পর্শে আসে না তাই এই সুরক্ষা পাওয়া যায়।
* ওষুধ খাওয়ার পরে ব্রাশ করা: এই ছোট্ট বিষয়টি আমরা অনেক সময়েই ভুলে যাই । যে সমস্ত তরল ওষুধ বা সিরাপ রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা খাই কিংবা বাচ্চাদের খাওয়াই তার মধ্যে চিনির উপাদান বেশি থাকে। এগুলো  দাঁতের ক্ষয়সহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।