এ,আর কামাল শেখ,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদ পুর ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামের ফুই বেগম ৭৫ বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতা পায়নী । শরীরে যেন এক তোলাও শক্তি নেই, স্বাস্থ্যের অবস্থাও খুবই খারাপ। পথ চলার গতি ও হারিয়ে গেছে। বয়সের ভারে শরীর একেবারে নূয়ে পড়েছে।
তারপরেও দু-বেলা দু-মুটো খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার তাগিদে কল্যান্দী গ্রাম থেকে তিন মাইল পায়ে হেটে আড়াইহাজার সদরে এসে একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করেন ছয়শত টাকা বেতনে ফুই বেগম। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাড়ালেও তার ভাগ্যে বয়স্কভাতার কার্ড বা অন্য কোন সরকারী সুবিদা জোটেনি। জানা যায় মাধবদী থানার নোয়াকান্দী গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর মেয়ে ফুই বেগমের। বিয়ে হয়েছিল আড়াইহাজা উপজেলার বালিয়াপাড়া কল্যান্দী গ্রামে। স্বামী তোতা মিয়ার প্রথম স্ত্রীর ছয় সন্তান রেখে মারা যায়। এর পরে ফুই বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ফুই বেগম সতিনের সন্তানদের নিজের সন্তা মনে করে তিনি আর সন্তান নেয়নী। সংসার জীবনের মাঝামঝি সময়ে স্বামীর তোতা মিয়া মারা যান।
সতিনের সন্তানদের কোলে পিঠে করে মানুষ করেন ফুই বেগম। স¦ামী ফুই বেগমকে একশতাংশ বাড়ি লেখে দিয়ে যান। সে জায়গা সতিনের সন্তাদের জায়গা সল্পতার কারনে দান করে দেন। তাকে দেখবাল করার মতো এখন আর কেউ নেই। সরকার ঘোষিত দরিদ্র প্রকল্পে কোন ভাতা তার ভাগ্যে জোটেনী ।
ফুই বেগম বলেন চার মেয়ে বিয়া দিছি, ছেলেরা বিয়া করছে এখন যার যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত, তারা নিজেরাই নূন আনতে পান্তা ফুরায় চলতে পারেনা আমাকে দেখব কেমনে। তাই আমি যতটুকু পারি কাজ করে খাই। ওয়ার্ড মেম্বারদের ও চেয়ারম্যাদের কাছে অনেক বার গিয়াছি ছবি দিছি কোন লাভ হয়নাই। বাংলাদেশ সংবিধান অনুসারে খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান এই ৪টি মানুষের মৌলিক অধিকার।
প্রবীন এই বৃদ্ধা ফুই বেগম তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। চিকিৎসার সুব্যবস্থা তার ভাগ্যে জোটেনি। মাহমুদ পুর ইউনিয়ন পরিষদ এর সংরক্ষিত ১,২,৩ আসনের মেম্বার রাসিদা বলেন ফুই বেগম বয়স্কভাতা পায় কি না আমি জানিনা। ১নং ওয়ার্ড মেম্বার কাইয়ুম বলেন কে কি পেলো আর না পেলো আমার জানা নেই, সব জানতে হবে এমন কোন কথা আছে না কি?।