এ,আর কামাল শেখ , বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে ছাত্রদলের নতুন কমিটি পেতে বিবাহিত ও অছাত্রদের দৌড়ঝাপ। তারা রীতি মতো আরামের ঘোম হাড়াম করে দিন রাত চষে বেড়াচ্ছেন ভিবন্ন মহলে। লবিং করছেন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের সাথে।
অছাত্রদের ভিড়ে প্রকৃত ছাত্রনেতারা অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। ছাত্রনেতা নামধারীরা নানাভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নীতি নির্ধারকদের। আড়াইহাজার থানায় ছাত্রদলের একাধিক সভাপতি প্রার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে প্রকৃত ছাত্রের সংখ্যা খুবই কম। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রকৃত ছাত্র না হলে কমিটিতে থাকতে পারবে না। এমন বাধ্যবাধকতা রয়েছে ছাত্র দলে। কিন্তু আড়াইহাজারে ছাত্রদলের কমিটিতে যারা প্রবেশের চেষ্টা করছেন তাদের মধ্যে অনেকেই বিবাহিত এবং অছাত্র, কেউ কেউ অনেক আগেই শিক্ষাজীবন শেষ করে ব্যবসা বানিজ্য করছেন। অভিযোগ রয়েছে, দল পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেকেই এলাকা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। সেই বিতর্কিতরাই এখন কমিটিতে ঢুকার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন। এদের মধ্যে,সবাই সভাপতি প্রার্থী, মুহাম্মদ উল্যাহ, আসাদুজ্জামান, ছালাউদ্দিন আহমেদ (ডালিম), দির্ঘ দিন এলাকা ছেড়ে লাপাত্তা ছিলেন। মেহেদী হাছান রানা,মাসুদ মিয়া,রফিকুল ইসলাম,মনিরুউজ্জামান ও শফিকুল ইসলাম। তাদের মধ্যে অনেকেই বিবাহিত জীবন যাপন করছেন। ছাত্র নেতা মনিরুজ্জামান বলেন, প্রকৃত ছাত্র ছাড়া কমিটি হলে বির্তকের সৃষ্টি হবে। যাচাই বাচাই করে পরিশ্রমি ত্যাগী সৎ, সাহসীদের দিয়ে আড়াইহাজার থানা ছাত্র দলের কমিটি ঘোষনা করার জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ছাত্রদলের একাধিক নেতা বলেন, ইতি মধ্যে যাদের নাম ভেসে উঠেছে তাদের মধ্যে অনেকেই অতীতে বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য বিতকির্ত হয়ে আছেন। তাদের ব্যাপারে সাধারণ মানুষতো আছেই, খোদ ছাত্রদলের অনেক নেতাই তাদের ব্যাপারে আপত্তির সুর তুলেছেন। থানা ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতার সাথে কথা বললে এ প্রতিবেদকে জানান, ত্যাগীদের সাথে বিবাহিত ও অতিতের বির্তকিত ব্যক্তিরা আগামী ছাত্র দল কমিটিতে স্থান পেতে দৌঁড়ঝাপ করছেন। বিগত দিনে যারা সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজ পথে ছিলেন তাদের অবমূল্যয়নের পায়তারা চলছে। সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার দাবী কৃত পদ না পেলেও আমি খুসি, কিন্তুু বিবাহিত ও অছাত্ররা যেনো ছাত্র দলের নতুন কমিটিতে স্থান না পায়, সেদিকে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বিশেষ নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
থানা ছাত্রদলের সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী বলেছেন- থানা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেতে অনেকেই নীতি নির্ধারকদে মন পেতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। এদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা স্কুলের গন্ডিও পার হয়নি। তারা বড় ভাইদের নানা কায়দায় বশে আনার চেষ্টা করছেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ছাত্রদলের প্রার্থীদের মধ্যে অনেক অছাত্ররাও বিভিন্নভাবে তকবির ও লবিং করছেন। তারা জেলার নেতাদের পেছনে আঠার মত লেগে রয়েছেন।আবার কেউ কেউ উপটোকন দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। দলের র্দুদিনে লাপাত্তা সু-দিনে ভালো অবস্থান পেতে লবিং চলবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানা ছাত্রদলের এক সভাপতি প্রার্থী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছি। আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা প্রকৃত পক্ষে ছাত্রের গন্ডি অনেক আগেই পার করেছেন।এবং কেউ কেউ এরই মধ্যে বিয়ে করেছেন। তাদের সন্তানাদীও রয়েছে। এসব নেতারা কিভাবে ছাত্রদলের কমিটি দাবী করছেন। সরকার বদলের সাথে সাথে এসব ছাত্রনেতারা র্দীঘদিন লাপাত্তা থেকে এখন ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেতে লবিং চালাচ্ছেন হাইব্রিট নেতাদের মাধ্যেমে। ছাত্রদলের এই নেতা আরও বলেন, ‘অতীতে যারা ছাত্রদলের রাজনীতি করেছেন তারা নেতৃত্ব তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আগামী দিনের রাজনীতিতে টিকতে হলে সাহসী পরিশ্রমিদের ভালো স্থানে রাখার দাবী করেন ছাত্রদলের এই নেতা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য পারভেজ মোশারফ বলেন,আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের কমিটি অচিরেই ঘোষণা করা হবে। ছাত্রদলে বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ছিলো সৎ,ত্যাগী, সাহসী পরিশ্রমির কোনো বিকল্প নেই। থানা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেতে একাধিক ছাত্রনেতা লবিং করছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী কমিটিতে প্রকৃত ছাত্র নেতারাই থাকবেন। বিতর্কিত বা অছাত্রদের স্থান ছাত্রদলে হবে না। তিনি আরও বলেন দলের দূর্দিনে যারা রাজ পথ ফ্যসিবাদী অবৈধ সরকার বিরোধী আন্দোলন করে মামলা হামলার সিকার হইছেন তাদেরকে সনম্মন জনক পদে রাখার নির্দেশনা রইছে হাই কমান্ডের।
আড়াইহাজার উপজেলায় সর্ব শেষ ছাত্র দলের কমিটি হয় ২০০৪ সালে। সভাপতি আব্দুল জুয়েল,
সাধারন সম্পাদক শফিউদ্দিন(শফু)। সরকারী সফর আলী কলেজ এর ভিপি কমিটি হয়,২০০২সালে, ভিপি মনঞ্জুর, জি এস ছালাউদ্দিন (ডালিম)। কলেজ শাখার কমিটি হয়,২০০৫সালে, সভাপতি,আক্তার হোসেন,সাঃ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।