বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: চুল নিয়ে নারীদের চুলোচুলির খবর শোনা যায়। উল্টো দিকে চুল নিয়ে তাদের আগ্রহেরও কমতি নেই। চুল কীভাবে আরো সুন্দর করে তুলবেন এমন ভাবনায় রাত-দিন এক করে ফেলেন এমন নারীর সংখ্যাও কম নয়। যে কারণে আজকাল মফস্বল শহরেও বিউটি পার্লারের দারুণ চাহিদা।
সাধারণত সব নারীই কমবেশি নিজেকে ফ্যাশনেবল করতে আকর্ষণীয় ঢঙে চুল কাটাতে পছন্দ করেন। নামি-দামি সেলিব্রেটিরাও নিজেদের মোহনীয় করে তুলতে চুলে বিশেষ ছাট দেন, তৈরি করেন নতুন ট্রেন্ড। তবে চীনের এক সম্প্রদায়ের নারীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তাদের চুলে বিশেষ ছাট দূরে থাক, চুলে কাচি চালানোই নিষেধ।
চীনের গুয়াংসি প্রদেশের হুয়ানগ্লো নামক গ্রামে বসবাস করে ইয়াও সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়ের মাঝে প্রায় দুই হাজার বছর ধরে চলে আসছে চুল না কাটার প্রথা। কথাটা একেবারে সত্য বলা হলো না। কারণ তারা জীবনে একবারই চুল কাটানোর সুযোগ পায়। তারপর আর নয়। সেটা কেবল আঠারো বছর বয়সে। ফলে চুল বাড়তে থাকে আপন গতিতে।
এরই মধ্যে লম্বা চুলের কারণে রেকর্ড বুকেও উঠেছে সেখানকার কারো কারো নাম। ২০০৪ সালে আঠারো ফুট লম্বা চুলের কারণে গিনেস বুকে স্থান পান ইয়াও জনগোষ্ঠির এক নারী। এই গ্রামের প্রায় ৬০ জন আছেন যাদের চুল তিন ফুট পর্যন্ত লম্বা। এত বড় চুল নিয়েই তারা নিজেদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করেন।
সাধারণত চুল সতেজ রাখতে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এসব ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রেও ইয়াও সম্প্রদায়ের নারীরা ব্যতিক্রম। শুধু পানি দিয়েই চলে চুলের পরিচর্যা। গুয়াংসি প্রদেশের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীর পানিই চুল পরিস্কারের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন তারা।