নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: রাজধানীর উত্তরায় পিআইর ড্রাইভার আনোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বর অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে,উত্তরা জোনের পিআইর ড্রাইভার ২০০৯ সালে উত্তরা জোনে নিয়োগ পান তিনি । উত্তরা জোনে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই তিনি উত্তরা এলাকায় জুয়ার টাকা উত্তোলন, ফুটপাতের দোকান থেকে এককালিন, দৈনিক, মাসিক চাঁদা গ্রহণ সহ, নানা অপকর্মে জড়িয়ে পরেছেন। শুধু তাই নয় চাঁদা উঠানো জন্য মানিক নামের একজন লাইন ম্যানকে নিয়োগ দেন তিনি এবং প্রতি সাপ্তাহে শুক্রবার তিনি নিজেই রাস্তায় নেমে পরেন টাকা উত্তলোন করার জন্য। সাপ্তাহের টাকা না পেলে বেদম মারপিট করে দোকানের মালামাল নষ্টের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। র্মাচ ২০১৬ ইং তারিখে চাদাঁবাজীর অভিযোগে ড্রাইভার আনোয়ারকে বদলী করে দিলেও ৩ মাস পরে পূনরায় আগের জায়গায় পোষ্টিং হয়ে আসে
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,পিআইর ড্রাইভার আনোয়ার উত্তরা জোনে যোগদানের পরপরই ড্রাইভার আনোয়ারের লাইনম্যান মানিককে চাঁদা উঠানোর জন্য নিয়োগ দেন বিভিন্ন সেক্টরে। অভিযোগ আছে, উক্ত চাঁদাবাজরা উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাদকের স্পট, জুয়ার আসরসহ পতিতা ব্যবসায় জড়িতদের নিকট হতেও টাকা তুলে থাকেন।ফুটপাত ব্যবসায়ীরা ড্রাইভার আনোয়ারকে টাকা দিতে না চাইলে দোকানের মালামাল ফেলে দেয় এবংতাদের মারধোর করে। এবিষয়ে কয়েক জন ব্যবসায়ী পিআই খন্দকার মশিউর এর নিকট ৭ নং সেক্টর ব্রিজ সংলগ্ন ঝুড়ির দোকানধার বিপুল,জুতা ব্যবসায়ী সিফউদ্দিন,হিমালয় রেস্তোরা সংলগ্ন রোকন,বজলু,মোস্তফা,ভাজাপুড়া ব্যবসায়ী সংরাম এবং মোটা মাসুদ লিখিত আকারে অভিযোগ করেন ড্রাইভার আনোয়ারের বিরুদ্ধে।
একটি বিশ্বস্তসূত্র জানায়, উত্তরা এলাকার প্রায় ১শত মত ফলের দোকান চা সিগারেটের দোকান ও ভাজাপোঁড়া দোকানদারদের কাছে থেকে দোকান বসানো বাবদ লাইনম্যান মানিক দোকান প্রতি ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা করে চাদাঁ তোলে পিআই এবং পিআইর ড্রাইভারের নামে।
উক্ত অভিযোগের বিষয়ে উত্তরা জোনের পিআই এবং পিআইর ড্রাইভারের নিকট জানতে চাইলে তারা নিজেরদের সমস্ত অভিযোগ অস্বিকার করেন।