এম এ রহিম,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: গত ২৭ দিনের ব্যাবধানে সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর গোডাউনের ২৫ নং শেডে আবারও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুড়ে ছায় হয়ে গেছে শেডে থাকা ২২বস্তা পাওডার। ইলেক্ট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
২৫ বছরে আগের ইল্ক্ট্রেনিক্স ওয়ারিং করা বাল্ব বাষ্ট হয়ে এ ঘটনা ঘটে। বন্দর কর্তৃপক্ষের অব্যাবস্থাপনাকে দায়ী করছেন আমদানিকারকরা। বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কামার্সের উপকমিটির চেয়্রাম্যান মতিয়ার রহমান বলেন-বেনাপোল বন্দর কর্মকর্তাদের ঢেলে সাজাতে হবে। বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ বন্দর ব্যাবহারকারীদের আন্তরিক হতে হবে। অগ্নিনির্পাপন ব্যাবস্থার উন্নয়ন না হলে আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশাংকা করেন তিনি।
শনিবার বিকালে বেনাপোল বন্দর গোডাউনের ২৫ নং শেডের উপরে থাকা ইলেক্ট্রনিক্স বাল্ব বাষ্ট হয়ে আগুন লাগে শেডের অভ্যান্তরে। মুহুর্তই পুড়ে ছায় হয়ে যায় বে লিন্ড বাংলাদেশ ঢাকার আমদানিকরা ২২বস্তা (রডের প্রলেপের জন্য ব্যাবহৃত) ব্রান্ডডেন্ড পাওডার। যার সিএন্ডএফ বেনাপোলের সারথি ইন্টার প্রাইজ। শেডে ৪শ বস্তা ব্রান্ডেড পাওডার ছিল বলে জানান আমদানিকারকের প্রতিনিধি বেনাপোলর সারথি ইন্টার প্রাইজের শাহজাহান আলী। তবে স্থানীয় লেবার ও বন্দরের ফায়ার কর্মিরা মুহুর্তেই ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। বড় ধরনের আগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পায় বন্দর।
উল্লেখ্য-গত ২অক্টোবর ২৩ শেডে আগুন লেগে আর্ধকোটি টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভ’ত হয়। প্রায় সময় একের পর এক আগুনের ঘটনায় কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় শর্টসার্কিট সহ আগুনের ঘটনা ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমদানিকারকরা। ক্ষতিপূরন দাবী করেন তারা।
বাংলাদেশ ইনসুরেন্স কোম্পানীর সার্ভেয়ার- মো: আব্দুল কুদ্দুস জানান-একের পর এক অগ্নিকান্ড ঘটছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা।
বন্দর উপ পরিচালক আব্দুল জলিল জানান- বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। বন্দরের ফায়ার কর্মিরা আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছেন। বন্দর পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানান তিনি।