বগুড়া,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: ২০২১ সালের মধ্যে বগুড়া জেলায় বাল্যবিবাহ শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে শহরের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক ও পুরোহিতদের (ঠাকুর) এক সমাবেশ জেলা রেজিস্টার হীরা লাল রায় এ ঘোষণা দেন।
বগুড়া জেলা হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন কল্যাণ সমিতির আয়োজনে সমাবেশে প্রধান অতিথি জেলা রেজিস্টার হীরা লাল রায় বলেন, সরকারি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বগুড়া জেলায় বাল্যবিবাহের হার অনেক বেশি। এ জেলায় বাল্যবিবাহের হার বর্তমানে ৪৮ ভাগ হলেও অন্য জেলার তা মাত্র ১৩ ভাগ। বাল্যবিবাহের এই হার কমিয়ে আনতে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক ও পুরোহিতদের (ঠাকুর) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের সঙ্গে জড়িত থাকলে যে কাউকে ১হাজার টাকা জরিমানা, এক মাসের জেল, এমনকি উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। বাল্যবিবাহ বন্ধে জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। সংগঠনের সভাপতি অরুন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক গৌরব চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দৈনিক করতোয়া পত্রিকার বার্তা সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলীপ কুমার দেব, সাবেক সভাপতি অমৃতলাল সাহা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন কুমার সিংহ, বগুড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরুণ চক্রবর্তী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি স্বপন কুমার চক্রবর্তী, এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার চক্রবর্তী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য গোপাল তেওয়ারী, পুরোহিত বিধান ভট্টাচার্য্য, হিমাংশু চক্রবর্তী, গোপাল ভাদুরি। এর আগে জেলা রেজিষ্টার হীরালাল রায় সকল পুরোহিতকে নিবন্ধন ছাড়া বিবাহের আয়োজন এবং বাল্য বিবাহ না পড়ানোর জন্য হাত তুলে শপথ করান। সমাবেশে শতাধিক হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক ও পুরোহিতরা উপস্থিত ছিলেন।