নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদ নিরপেক্ষ ছিলেন না। তিনি ছিলেন মানুষের পক্ষে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় তিনি এ দেশের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিশিষ্ট এই সাংবাদিকের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তাদের অনেকেই এভাবে তাঁকে মূল্যায়ন করেন। সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ সোমবার ডিআরইউতে ওই সভার আয়োজন করে।
স্মরণসভায় প্রফেসর সাখাওয়াত আলী খান বলেন, প্রথম পরিচয় থেকে তার মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত দেখেছি, তিনি ছিলেন সৎ। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃত ছিলেন। আবেগ দ্বারা তাড়িত হতেন না। ঘটনার ভেতরের ঘটনা বের করে আনতে পারতেন। আতাউস সামাদ আমার বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। যদিও আমি ছিলাম তাঁর অনুরাগী ও ভক্ত।
প্রবীণ সাংবাদিক, কলামিস্ট কামাল লোহানী বলেন, মাথা থেকে পা পর্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন আতাউস সামাদ। অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় আতাউস সামাদের জুড়ি ছিল না। তাঁর কোনো প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক হয়নি, তিনি জীবনভর সুনাম বজায় রেখে সাংবাদিকতা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এখনকার শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় সাংবাদিকদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আতাউস সামাদকে অনুসরণ করে সাংবাদিকদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।
স্মরণসভার সঞ্চালক ছিলেন কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ। সভায় বক্তব্য দেন বিএফইউজের একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোল, সিনিয়ার সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার প্রমুখ।