রাজশাহী,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: প্রাণীশূন্য হয়ে পড়ায় রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কমতে শুরু করেছে। গত এক যুগে চিড়িয়াখানার প্রাণী অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাঘ, সিংহ, মায়া হরিণ থেকে শুরু করে অনেক প্রাণী মারা গেছে।
বর্তমানে ৭টি গাঁধা, ২০টি বানর, ২টি বেবুন, ২টি হনুমান, ১টি মায়া হরিণ, ৪৪টি চিত্রা হরিণ, ২টি মেছো বাঘ, ৪টি গন্ধ গোকুল, ১টি ভালুক, ৩০টি খরগোশ, ১টি হুতুম পেঁচা, ১টি হাড়গিল, ৪৮টি রাজহাঁস, ১০টি বালিহাঁস, প্রায় ২০০টি তিলা ঘুঘু, ২টি পাতিহাঁস, ১১০টি হাইব্রিড কবুতর, ১টি কালিম পাখি, ৭টি চখা, ২টি ঘড়িয়াল, ১টি অজগর, ৭টি কচ্ছপ, ৩০টি বক, ২টি সাদা বড় বক, ১টি ওয়াক পাখি, ১টি পেলিকেন, ১টি চিল, ১টি মুরাল মাছ, ২টি বনবিড়াল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দেয়া বর্তমান তথ্যানুযায়ী এসব প্রাণীর অর্ধেকও নেই।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যানুযায়ী ২০০৩ সালে রাজশহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় যেসব প্রাণী ছিলো সেগুলো হচ্ছে, দুইটি সিংহ, একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ১৯৪টি চিত্রা হরিণ, দুইটি মায়া হরিণ, ২৬টি বানর, ৯টি বেবুন, চারটি গাধা, দুইটি ভালুক, একটি ঘোড়া, দুইটি সাদা ময়ুর, তিনটি দেশি ময়ুর, ৮৫টি তিলা ঘুঘু, ৬৮টি দেশি কবুতর, ২৮টি বালিহাঁস, দুইটি ওয়াকপাখি, একটি পেলিকেন, ছয়টি টিয়া, চারটি ভুবন চিল, চারটি বাজ পাখি, একটি হাড়গিল, তিনটি হুতুম পেঁচা, নয়টি শকুন, দুইটি উদবিড়াল, তিনটি ঘড়িয়াল ও একটি অজগর ছিল।
পরিবার সাথে নিয়ে ঘুরতে আসা লতিফুর রহমান জানান, ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে নিয়মিত চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন। চিড়িয়াখানা একটি নিরিবিলি পরিবেশ, অনেক খেলনা বাচ্চাদের জন্য ফ্রি রাখা হয়েছে, চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে অনেক আনন্দ হয়। তবে নতুন নতুন পশু-পাখির নিয়ে আসলে আনন্দ আরো বেশি হবে বলে জানান তিনি।
বাঘ ও সিংহের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বলেন, শুধু প্রাণী আমদানি করলেই হবে না, তাদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা এবং একটি পুরুষ ও একটি মেয়ে প্রাণী রেখে তাদের মধ্যে আন্তঃপ্রজননের ব্যবস্থা করতে হবে। উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় অল্প বয়সেই প্রাণী মারা যায়।
পশু-পাখি মারা যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যেগুলো প্রাণী মারা গেছে সেগুলো বয়স বৃদ্ধির কারণে মারা গেছে। ময়ুর সাধরণত ৮ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে, কিন্তু আমাদের ময়ুরটি ২২ বছর বেঁচে ছিল।
দর্শনার্থী কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন, কাঠামো উন্নয়নের পরে অধিক হারে দর্শনার্থী হচ্ছে, ফলে লাভের পরিমাণও বেশি হচ্ছে। যে প্রাণী গুলোকে উদ্ধার করে আনা হয়, সেগুলো প্রথম দিকে অসুস্থ থাকলেও চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয় বাকি সব প্রাণী সুস্থ আছে বলে জানান তিনি।