নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: শল্য অভিযানের (সার্জিক্যাল স্ট্রাইক) প্রত্যাঘাত আসতেই পারে। তাই সীমান্তে কার্যত যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করল ভারতীয় সেনা। তারই জেরে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার গ্রামবাসীকে অনত্র সরানো হচ্ছে। পঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত গ্রামবাসীকে সরানো হয়েছে অন্যত্র।
সীমান্ত এলাকার সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্জাবের ফিরোজ়পুরের জেলা শিক্ষা অধিকর্তা। একইসঙ্গে সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)।
গতকাল রাতেই পাকিস্তানে ঢুকে শল্য অভিযান চালায় ভারত। ভারতের এই অভিযানে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে বলে জানান ডিরেক্টর জেনেরাল অফ মিলিটারি অপারেশনস (DGMO) রণবীর সিং। এই জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিল বলে জানান তিনি। উরি হামলায় ১৮ সেনা জওয়ান নিহত হওয়ার পর এই প্রথম বড়সড় অভিযান করল ভারতীয় সেনা।
কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারতের শল্য অভিযান দু’দেশের সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি এই অভিযান ভারতের তরফে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফকে দেয়া স্পষ্ট সতর্কবার্তা বলেও মত কূটনৈতিক মহলের। ভারতের শল্য অভিযানের পালটা প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, পাকিস্তান শান্তিকামী দেশ। তবে এটাকে যেন তাদের দুর্বলতা বলে মনে না করা হয়।
অন্যদিকে বিষয়টিকে শল্য অভিযান বলে মানতে নারাজ পাকিস্তান সেনা। তাদের দাবি, ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ভারতীয় সেনার গোলাগুলিতে ২ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে।
উরি হামলায় পাকিস্তান যোগের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পর প্রতিবেশীদেশকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করতে মাঠে নামে ভারত। আন্তর্জাতিক মঞ্চ রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের নিন্দায় সরব হন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এমনকী উরি হামলার পর অ্যামেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সও পাকিস্তানের নিন্দা করেছে। ভারত-পাকিস্তানকে আলোচনায় বসে বিবাদ মেটানোর আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানের মিত্র চিনও।
এদিকে উরি হামলার জেরে ইসলামাবাদে SAARC সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না ভারত সহ একাধিক প্রতিবেশী দেশ। গতকালই তা স্পষ্ট করেছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও ভুটান। ফলে এবার ইসলামাবাদে SAARC সম্মেলন বাতিলই হয়ে গেছে।