বকশীগঞ্জ,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: জামালপরের বকশীগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে স্থানীয় ৩টি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার শিক্ষকসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
জানা গেছে, বকশীগঞ্জ খাতেমুন মইন মহিলা ডিগ্রি কলেজে প্রায় দেড় যুগ থেকে পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই ভেন্যুতে প্রতিবছর শত শত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। কিন্তু চলতি বছর স্থানীয় প্রশাসন খাতেমুন মইন মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র বাতিল করে উপজেলা সদর থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজ এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অনুমোদন দেয়। এতে বিপাকে পড়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে বুধবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও ঝাড়ু মিছিল করে সরকারী কে ইউ কলেজ ও খাতেমুন মইন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দাবি না মানা হলে পরীক্ষা বয়কটের ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় সরকারি কে ইউ কলেজ ও মহিলা ডিগ্রি কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্থানীয় চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা আপত্তিকর শ্লোগান দেয়। এর প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচীর ডাক দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল বের করে চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাস সংলগ্ন বকশীগঞ্জ-কামালপুর সড়কে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা উপজেলা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে কলেজ অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই রহমান মিয়া ও সহকারী শিক্ষক মনির হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে খাতেমুন মইন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বজলুল করিম তালুকদার বলেন, আমাদের কলেজ থেকে নতুন কেন্দ্রটি চার কিলোমিটার দূরে। ফলে শিক্ষার্থীরা আগের কেন্দ্র বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে।
চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা বোর্ড যাচাই-বাছাই করেই এখানে কেন্দ্র দিয়েছে। মহিলা কলেজ ও সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি অনৈতিক।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কবস্থায় রয়েছে।
ইউএনও আবু হাসান সিদ্দিক জানান, বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চলছে।