প্রতিনিধি, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, দক্ষিণ কোরিয়া : বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউলের ফেইসবুক ও ওয়েবে ডাকযোগের মাধ্যমে ৭টি প্রধান কনস্যুলার সেবা প্রদানের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের দীর্ঘদিনের দাবী পুরন হলো। এর আগে প্রতিমাসে একটি রবিবার সেবা ও বিভিন্ন শ্রমঘন এলাকাতে কনস্যুলার সেবা চালু করা হয়েছিল। এই সেবা ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে ।
৭টি প্রকাশিত সেবাগুলি হলঃ
১। এম আর পি ( মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) রি-ইস্যু ও হাতে লেখা পাসপোর্ট এর নবায়ন
২। ডকুমেন্ট সত্যায়ন
৩। পাসপোর্টে সন্তানের নাম অর্ন্তরভুক্ত করন
৪। ট্রাভেল পারমিট
৫। নাগরিকত্ব গ্রহন ও ত্যাগ
৬। জন্ম নিবন্ধন সনদ
৭। নো ভিসা রিকুয়ার্ড ( NVR)
উপরোক্ত সেবা পেতে আপনাকে যে যে কাজগূলো সম্পাদন করতে হবে তা সংক্ষিপ্ত আকারে নিম্নে প্রদান করা হলো ।
এম আর পি বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্টঃ
প্রথমেই জেনে নেই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট কি ? এটি কি নবায়ন হয় ? নাকি রি-ইস্যু হয় ? রি-ইস্যু কি ও কিকি কাগজপত্র প্রয়োজন?
হাতে লেখা পাসপোর্ট দেয়া অনেক আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । তার পরিবর্তে নতুন ধরনের যে পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে তা এখন প্রায় ৮০ শতাংশ মানুশের হাতে পৌছে গেছে যা মেশিনের সাহায্য বিভিন্ন বিমান বন্দর বা চেক পোষ্ট পড়তে পারছে সেটিই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা সংক্ষেপে এম আর পি (MRP) । মেয়াদ ৫ বছর ।
মেয়াদ শেষ হলে এটি নবায়ন হয়না , রি-ইস্যু হয় । তারমানে আপনার পুরনো পাসপোর্টের পরিবর্তে আপনাকে আরেকটি নতুন নম্বর যুক্ত পাসপোর্ট দেয়া হবে ।
দুতাবাসের ফেইসবুক অথবা ওয়েব পেইজ থেকে ১ পাতার একটি এম আর পি ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণ করুন। ফর্ম পুরনের সময় স্বাক্ষর ও মোবাইল নং অবশ্যই দিতে ভুলে যাবেন না । কারন প্রয়োজনে যেন দূতাবাস আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে । জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি , দুই কপি ৬ মাসের মধ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি , কে ই বি হানা ব্যাংকের( KEB HANA ) হিসাব নং – Bangladesh Embassy ,account no- 166-890000-59001 গিয়ে ১২০,০০০ উন জমা দিয়ে জমা স্লিপ নিন । এবার পোষ্ট অফিস থেকে ৩,০০০ উনের ডাকটিকেট নিন ও ২ টি খাম নিন । একটি খামের ডান দিকে উপরে ৩,০০০ উনের ডাকটিকেট লাগিয়ে অপ্ল নিচেই আপনার নাম মোবাইল নং ও ঠিকানা লিখুন। ২য় খামটিতে আপনার পাসপোর্ট ও দরাখাস্তসহ অন্যান্য সমস্ত ডকুমেন্ট এর সাথে ব্যাংক জমা স্লিপটিও ঢুকিয়ে ভাল করে খামটির মুখ বন্ধ করুন ।পোষ্ট অফিসে গিয়ে দূতাবাসের ঠিকানায় রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠিয়ে দিন । পাঠানোর পূর্বে আপনি সমস্ত ডকুমেন্ট, পাসপোর্ট ও টাকা জমার স্লিপের ফটোকপি করে রাখুন। জরুরী পরিস্থিতে কাজে লাগবে ।
ডকুমেন্ট সত্যায়নঃ
সনদ বা ডকুমেন্ট সত্যায়নের পূর্বে দেখে নিন আপনার সনদ বা ডকুমেন্টটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে সত্যায়ন করা আছে কিনা । যদি না থাকে বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত কিনা দেখে নিন । যদি না থাকে সেক্ষেত্রে দুতাবাসে কথা বলে আগেই জেনে নিন তারপর পোষ্ট করুন । সাধারন ফি – ১০,০০০ উন প্রতি সনদ/ডকুমেন্ট। কে ই বি হানা ব্যাংকের( KEB HANA ) হিসাব নং – Bangladesh Embassy , account no- 166-890000-59001 । ১০,০০০ উন জমা দিয়ে জমা স্লিপ নিন ( ডকুমেন্ট / সনদ অনুযায়ী টাকা জমা দিন ) । এবার পোষ্ট অফিস থেকে ডাকটিকেট নিন ও ২ টি খাম নিন । একটি খামের ডান দিকে উপরে ৩,০০০ উনের ডাকটিকেট লাগিয়ে অল্প নিচেই আপনার নাম মোবাইল নং ও ঠিকানা লিখুন। ২য় খামটিতে আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট এর সাথে ব্যাংক জমা স্লিপটিও ঢুকিয়ে ভাল করে খামটির মুখ বন্ধ করুন। পোষ্ট অফিসে গিয়ে দূতাবাসের ঠিকানায় রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠিয়ে দিন। পাঠানোর পূর্বে আপনি সমস্ত ডকুমেন্ট ও টাকা জমার স্লিপের ফটোকপি করে রাখুন। জরুরী পরিস্থিতে কাজে লাগবে।
পাসপোর্টে সন্তানের নাম অর্ন্তভুক্তকরনঃ
হাসপাতাল থেকে সন্তানের নাম , পিতা ও মাতার নামসহ ইংরেজিতে জন্ম সনদ নিন। পিতার পাসপোর্ট কপি , পিতা মাতার ২ কপি ছবি , মায়ের পাসপোর্ট, বাচ্চার চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি তুলুন। মাকে দিয়ে ফর্ম পূরণ করুন ও সই করান। কে ই বি হানা ব্যাংকের( KEB HANA ) হিসাব নং – Bangladesh Embassy , account no- 166-890000-59001 গিয়ে আর্জেন্ট ফি -৯৯,০০০ উন অথবা সাধারন ফি – ৫৩,০০০ উন জমা দিয়ে জমা স্লিপ নিন । এবার পোষ্ট অফিস থেকে ৩,০০০ উনের ডাকটিকেট নিন ও ২ টি খাম নিন । একটি খামের ডান দিকে উপরে ৩,০০০ উনের ডাকটিকেট লাগিয়ে অপ্ল নিচেই আপনার নাম মোবাইল নং ও ঠিকানা লিখুন । ২য় খামটিতে আপনার পাসপোর্ট ও দরাখাস্তসহ অন্যান্য সমস্ত ডকুমেন্ট এর সাথে ব্যাংক জমা স্লিপটিও ঢুকিয়ে ভাল করে খামটির মুখ বন্ধ করুন। পোষ্ট অফিসে গিয়ে দূতাবাসের ঠিকানায় রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠিয়ে দিন । পাঠানোর পূর্বে আপনি সমস্ত ডকুমেন্ট ,পাসপোর্ট ও টাকা জমার স্লিপের ফটোকপি করে রাখুন। জরুরী পরিস্থিতে কাজে লাগবে । ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত ফি ফোন করে জেনে নিন ।
ট্র্যাভেল পারমিটঃ
পাসপোর্ট না ব্যবহারের অনুপযুক্ত থাকলে বা জরুরী প্রয়োজনে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয় । প্রমানপত্র সাপেক্ষে এই ট্রাভেল পারমিট শুধুমাত্র দেশে যাওয়ার জন্য এইটি ব্যবহার করা যায় । ফর্ম পূরণ করুন । চার কপি ছবি দিন । ফিস -২৭,০০০ উন । কে ই বি হানা ব্যাংকের( KEB HANA ) হিসাব নং – Bangladesh Embassy ,account no- 166-890000-59001 গিয়ে জমা দিয়ে জমা স্লিপ নিন । এবার পোষ্ট অফিস থেকে ৩,০০০ উনের ডাকটিকেট নিন ও ২ টি খাম নিন । একটি খামের ডান দিকে উপরে ৩,০০০ উনের ডাকটিকেট লাগিয়ে অপ্ল নিচেই আপনার নাম মোবাইল নং ও ঠিকানা লিখুন । ২য় খামটিতে আপনার পাসপোর্ট ও দরাখাস্তসহ অন্যান্য সমস্ত ডকুমেন্ট এর সাথে ব্যাংক জমা স্লিপটিও ঢুকিয়ে ভাল করে খামটির মুখ বন্ধ করুন । পোষ্ট অফিসে গিয়ে দূতাবাসের ঠিকানায় রেজিস্ট্রি ডাকে পাঠিয়ে দিন । পাঠানোর পূর্বে আপনি সমস্ত ডকুমেন্ট ,পাসপোর্ট ও টাকা জমার স্লিপের ফটোকপি করে রাখুন। জরুরী পরিস্থিতে কাজে লাগবে ।
উদাহরন হিসাবে উপরে তিনটি সেবার পাওয়ার প্রক্রিয়াটি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে । অন্যন্য সেবার ক্ষত্রেও নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করুন ও ফি জমা দিন ও পোষ্টে পাঠানোর নিয়ম মেনে দুতাবাসে পাঠিয়ে দিন । আরো ভাল জানার জন্য দূতাবাসে ফোন করুন ও দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিটি ভাল করে পড়ুন ।