প্রতিনিধি, বর্তমানকন্ঠ ডটকম, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেইট যুবলীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।
পুলিশের হোমিসাইড শাখার কর্মকর্তা জেমস হাইয়েস গণমাধ্যমকে বলেন, গুলির খবর পেয়ে লডারডেল লেইকস ও টামারাক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রক্তাক্ত আইয়ুব আলীকে পাশের ব্রাউয়ার্ড হেল্থ মেডিকেল সেন্টারে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশপাশের সিসিটিভি পরীক্ষার পর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারে এলাকাবাসীর সহায়তা চেয়েছে ব্রাউয়ার্ড শেরিফ অফিস।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফ্লোরিডায় অ্যাসোসিয়েশন অব বাই-ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “স্টোর থেকে কিছুই লুট হয়নি। তাই এটা ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। এটা হেইট ক্রাইম।”
যুবলীগ নেতা আইয়ুব আলীর হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন মিশিগান মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মিশিগান স্টেইট যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, মিশিগান স্টেইট যুবলীগের সভাপতি মো. জাহেদ মাহমুদ আজিজ সুমন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ বদরুদ্দোজা জুনেদ। পাশাপাশি তারা মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
১৯৯৪ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন আইয়ুব আলী। ১০ বছর আগে এই দোকান কেনেন তিনি। গত বছর পার্কল্যান্ড এলাকায় একটি বাড়িও কিনেছেন আইয়ুব। তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি।
আইয়ুব আলী হত্যার সংবাদে ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব ফ্লোরিডা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডা, ঢাকা ক্লাব, নাগরিক, ফ্লোরিডা চেম্বার অব কমার্সের নেতারা হাসপাতালে যান এবং আইয়ুব আলীর পরিবারের খোঁজ-খবর নেন।
তারা মর্গ থেকে লাশ নেওয়ার পরই স্থানীয় মসজিদে জানাজার পর দাফনের বিস্তারিত কর্মসূচি নেবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকাল থেকে আইয়ুব আলী একাই কাজ করছিলেন তার দোকানে। গুলির সময় সেখানে আর কেউ ছিলেন কিনা তা এখনও জানায়নি পুলিশ।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের নর্থ লডারডেল সিটির ১৬৯১ সাউথ স্টেট সড়কে আন্ট মলি’জ ফুড স্টোরে তার মাথায় গুলি করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।