নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: সিলেটে ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের অপারেশন এখনও চলছে। স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের কনসালটেন্ট এবং হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট মেডিক্যাল ডিরেক্টর ড. মির্জা নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন, খুবই জটিল অপারেশন হওয়ায় সেটি শেষ হতে সন্ধ্যা ৬টা বাজতে পারে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।
ড. মির্জা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ সকাল নার্গিসকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। মাথায় অসংখ্য আঘাত। যেগুলো কোপানোর চিহ্ন। তাকে এমনভাবে কোপানো হয়েছে যে খুলি ভেদ করে ব্রেইন ইনজুরি হয়েছে। কোপানোর সময় হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করায় তার দুই হাতের রগ কেটে গেছে। তার কন্ডিশন (অবস্থা) খুবই খারাপ। অপারেশনের পরে যদি সে বেঁচে থাকে, তাহলে তাকে আইসিইউ’র ভেন্টিলেশনে রাখা হবে। যাকে আমরা লাইফ সাপোর্ট বলি।’
স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. এ এম রেজাউস সাত্তারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল নার্গিসের অস্ত্রোপচার করছেন।
এদিকে, সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ওই ছাত্রীর চাচা আব্দুল কুদ্দুস হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে শাহপরান থানার মামলাটি করেন। শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল মুন্সি বলেন, ‘মামলায় বদরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয়দের মারধরে বদরুল কিছুটা আহত হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার বিকেলে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসের (২৩) ওপর হামলা চালায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল ইসলাম।এসময় ধারালো ছুরি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে বদরুল। এতে খাদিজা মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ১টা পর্যন্ত তার চিকিৎসা চলছিল। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে দ্রুত ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।