নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু এখন সময়ের অপেক্ষা। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
বরিশাল নগরীতে ৩৫টি সহ জেলার দশ উপজেলার এবার ৫৩৭টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন চলছে। এরমধ্যে বিভাগের সবচেয়ে বেশি পূজা মণ্ডপ হচ্ছে আগৈলঝাড়া উপজেলায়। গত বছর ওই উপজেলায় ১৪২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও এবছর দুইটি মণ্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এসব মণ্ডপে চলছে দুর্গা পূজার শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
এছাড়া তৎকালীন ভারতীয় উপ-মহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ দুর্গা মন্দির গৌরনদীর আশোকাঠী এলাকার জমিদার প্রয়াত মোহন লাল সাহার বাড়ির মন্দিরেও মহাধুমধামের সঙ্গে চলছে পূজার শেষ আয়োজন।
নগরীর অধিকাংশ মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা গড়ার মূল কাজ শেষ হয়েছে। শেষপর্যায়ে প্রতিমার গায়ে চলছে রঙ তুলির আঁচড় আর সাজসজ্জার কাজ। ভক্তরা আগেভাগেই আসছেন প্রস্তুতি দেখতে।
বিগত বছরের তুলনায় এ বছর দুর্গাৎসবে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে আয়োজকদের। তারপরেও থেমে নেই কোনো আয়োজন।
জেলা প্রশাসক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান বলেন, উৎসবের একটি সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে। সেই গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে যেকোনো ধরণের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুরো জেলাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার এসএম আকতারুজ্জামান বলেন, জেলার প্রতিটি মন্দিরে ইতোমধ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আমরা জেলায় ১৫৫টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ১৬৯টি গুরুত্বপূর্ণ ও ২৬৬টি সাধারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছি। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের স্থায়ী মোতায়েনের পাশাপাশি র্যাব সদস্যদের টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও সাদা পোষাকের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সার্বক্ষণিক পূজা মণ্ডপগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করারও আয়োজন হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে ৩ হাজার ১৫ শ’ আনসার সদস্যসহ ৮ শতাধিক পুলিশ মাঠে কাজ করবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাখাল চন্দ্র দে জানান, আগামী ৭ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে দূর্গোৎসব শুরু হয়ে ১১ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে ৫ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গা পূজার সমাপ্তি ঘটবে।