ক্রীড়া ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং নাসির হোসেনের ব্যাটে লড়াকু স্কোর দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। শেষের দিকে তাদের ৬৯ রানের জুটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
মাশরাফি মাত্র ২৫ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারের সাহায্যে ৪৪ রান করেন। নাসির ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
রোববার দুপুরে মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ইংলিশ দলপতি জস বাটলার। গতকালের বৃষ্টি ও সকালেও বৃষ্টি হওয়ার কারণে পিচে বেশ আদ্রতা ছিল। এর সুযোগ নিতেই টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন ইংলিশ দলনায়ক।
তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করেন ইংলিশ বোলাররা। শুরুতেই চাপ সৃষ্টি করেন ক্রিস ওকস ও উইলি। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙেন ওকস। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইমরুল কায়েস ১৮ বলে মাত্র ১১ রান করে উইলির হাতে ধরা পড়েন।
ইমরুল কায়েসের পর দ্রুতই ফিরে যান তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ১৪ রানে ওকসের বলে মিড উইকেটে মঈন আলীর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন সাব্বির। খুব ধীর গতিতে ব্যাট করতে থাকেন তিনি। তবে ২১ বল খেলে মাত্র ৩ রান করে জ্যাক বলের শিকার হন সাব্বির। আগের ম্যাচে মোসাদ্দেক যেভাবে আউট হন তারই পুনরাবৃত্তি হলো সাব্বিরের বেলায়। বোল্ড হয়েছেন এ হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।
বিপর্যয় সামাল দিতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম চেষ্টা চালিয়ে যান। রানের চাকা সচল রেখে উইকেটও সামাল দেন তারা। তাদের জুটিতে আসে ৫০ রান। এই জুটি ভাঙেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক ইংলিশ পেসার বল।
বাউন্স বলে সীমানার কাছে আদিল রশিদের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। তিনি ২১ রান করেন। এরপর সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ১৯ রানের ছোট একটি জুটি গড়েন রিয়াদ। তবে খুব বাজে একটা বলে ইংলিশ বোলার স্টোকসকে উইকেট উপহার দেন সাকিব। তিনি মাত্র ৩ রান করেন।
এরপর উইকেটে সেট হয়ে ৭৫ রানে ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আউট হওয়ার আগে মোসাদ্দেকের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন এ ব্যাটিং অলরাউন্ডার। রিয়াদের পর দ্রুতই ফিরে যান মোসাদ্দেক। আদিল রশিদের বলে ওভার বাউন্ডারি মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন মোসাদ্দেক। তিনি ২৯ রান করেন।
এরপরই নাসির হোসেন এবং মাশরাফির ৬৭ রানের জুটি বাংলাদেশকে লড়াকু সংগ্রহে নিয়ে যায়। নাসির হোসেন ২৭ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। মাশরাফি ফিফটির কাছে গিয়েও রান আউটের শিকার হন।
এদিকে প্রথম ম্যাচে নাটকীয়ভাবে হারের পর শেষের দিকে একজন অভিজ্ঞ ফিনিশারের অভাব থেকেই মূল একাদশে ফেরানো হয় দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নাসির হোসাইনকে।
দল ও ভক্তদের প্রত্যাশার চাপে মাঠে ফেরা নাসির নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে খেলেন। মাশরাফিকে সঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশের রানের স্কোর ২০০ পার করেন। তাদের জুটির কারণেই সন্মানজনক স্কোর পায় টাইগাররা।