নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের ওপর সমন্বিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
গত ১০ অক্টোবর মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের ওপর হামলা পরিচালিত হয়। এই হামলায় জড়িত অপরাধীরা যাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে না পারে সেজন্যে তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত সিল করে দিয়েছে বাংলাদেশ।
রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা দুইজনকে গ্রেফতার করে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রাখাইন রাজ্যে বর্ডার গার্ড পুলিশ পোষ্টে গত ১০ অক্টোবর সমন্বিত হামলা এবং তার প্রেক্ষিতে যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লক্ষ্য করেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে সংগঠিত এই ঘটনাকে বাংলাদেশ খুবই ডিস্টার্বিং বলে মনে করে। বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে মিয়ানমারের বাহিনীর ওপর এই হামলার নিন্দা জানায়। এসব সহিংসতায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি, অপরাধীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত বিচার করা প্রয়োজন।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘অপরাধীরা যাতে পালিয়ে আসতে না পারে সেজন্যে দায়িত্বশীল প্রতিবেশি হিসাবে বাংলাদেশ ১০ অক্টোবর সকালেই মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত সিল করে দিয়েছে। বাংলাদেশ রাখাইন রাজ্যের দুইজন মুসলমানকে গ্রেফতার করে একদিনের মধ্যেই মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। তারা যে ধরনের সহায়তার অনুরোধ করছে, সব সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশ যেকোনও প্রকার সহিংস উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে থাকে। মিয়ানমারকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ সাম্প্রতিককালে আরাকান আর্মি ও অপরাপর সশস্ত্র এথনি গ্রুপের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছে। গত বছর আরাকান আর্মির কাছে থেকে উদ্ধার করা দুইজন টাটমাডো সদস্যকে ফেরত দিয়েছে বাংলাদেশ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ মিয়ানমারকে সহায়তা দেয়া অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, আইনী কাঠামোর আওতায় এ ধরনের সহযোগিতার বিষয়টি অনুধাবন করা উচিত, যার ওপর বাংলাদেশ গত দুই বছর যাবত জোর দিয়ে আসছে। মাদক ও মানবপাচার থেকে শুরু করে অস্ত্রবহন, বেসামরিক উত্তেজনা, অভ্যন্তরীণ বিশৃংখলা ও বিদ্রোহ সার্বিকভাবে মোকাবেলা করতে হলে এমন প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’