চট্টগ্রাম,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: রেলেওয়েকে আধুনিকায়ন, লাভজনক এবং গতিময় করতে রেলের পূর্বাঞ্চলে যুক্ত করা হচ্ছে আরও ৩০টি নতুন কোচ। ইন্দোনেশিয়ার সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০০টি কোচের চুক্তিকৃত সবশেষ চালানটিও এসেছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আমদানিকৃত কোচগুলো ১০০ মিটার গেজের।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত কোচের মধ্যে নতুন কিছু কোচ সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সিলেটগামী পারাবত এক্সেপ্রেস এবং জামালপুরগামী তিস্তা এক্সপ্রেসে লাগানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী কারখানায় মজুদ আছে আরও ৪১টি কোচ।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলওয়ের গতি আরও বাড়াতে পূর্বাঞ্চলের জন্য ২০০ কোচ আমদানির প্রস্তাব একনেক বৈঠকে অনুমোদন দিয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের মধ্যে পূর্বাঞ্চল সবচেয়ে লাভজনক এবং গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই অঞ্চলকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা যায়, আধুনিকায়ন এবং সেবা বাড়াতে প্রতিটি ট্রেনে পুরনো কোচ পাল্টে নতুন কোচ লাগানো হবে। তারই অংশ হিসেবে নতুন ১০০টি কোচ আমদানি করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ দুই লাইন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাকি আছে ৭২ কিলোমিটার। এর জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এ অংশের কাজ শেষ হয়ে গেলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব অনেক কমে যাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হাই জানান, ইন্দোনেশিয়ার সাথে চুক্তিকৃত আমদানিকৃত মোট ৪টি চালানে ১০০টি কোচ আমরা পেয়েছি। মিটার গেজের সবগুলো কোচ চলবে পূর্বাঞ্চলে। কারণ এখানে ব্রড গেজ চলে না। ব্রড গেজ কোচগুলো পশ্চিমাঞ্চলে চলে।
নতুন আরও ২০০ কোচ যুক্ত হলে রেলওয়ের সেবার মান এবং গতি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করছে ওইসব পথের যাত্রীরা।