নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের কারণে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা। দূর-দূরান্ত থেকে আগত রোগীদের অনেকেই সুস্থ্য হওয়ার পরে বাড়িতে যেতে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে হাসপাতালের বারান্দায় ও সিঁড়িতে। এমনকি লাশ নিয়ে যেতেও পারছেন না বলেও অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।
এমনি এক রোগীর স্বজনরা জানায়, সিরাজুল ইসলাম নামের একজন কুমিল্লা থেকে বার্ধক্যজনিত রোগ নিয়ে গত শনিবার ঢামেকের মেডিসিন ওয়ার্ডের ৬০১ নম্বর কক্ষে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় মারা যান তিনি।
মৃতের ছেলে মফিজুল ইসলাম মুহিত অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ধ্যা পর্যন্ত তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেননি। সিন্ডিকেটের কারণে ঢামেকের ভেতরে কোনো অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছে না। পরে বাইরে থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করতে গেলে তারা সাত হাজার টাকা দাবি করে। যেখানে ভাড়া ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। পরে তিনি ফিরে এসে বাবার লাশের পাশেই কাকতি মিনতি করতে থাকেন।
তখন চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স রোগী নিয়ে আসে ঢামেকে। পরে ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালককে অনেক অনুরোধ করলে রাজি হন লাশটি নিতে। এ সময় হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের দিনা ও পাপ্পু সহ কয়েকজন লাশ নিয়ে যেতে দেবে না বলে বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়।
পরে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়াকে বিষয়টি জানালে তিনি লাশটি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এ ব্যাপারে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্রেকিংনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স এখানে রাখতে দিচ্ছে না পুলিশ। এতে আমরা ভাড়া মারতেও পারছি না। আবার এ এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স রাখলে র্যাকার লাগিয়ে থানায় নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। যার কারণে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমার ধারণা।’
ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. খাজা আব্দুল গফুর জানান, যারা অনভিজ্ঞ চালক ও ফিটনেস বিহীন অ্যাম্বুলেন্স চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’