নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনাগুলো নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সহায়ক হবে।’

রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে বিএনপির ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে মত দেন। তিনি এ সময় ইসি গঠনে সবদলের পূর্ণ অংশগ্রহণ নিয়ে এগিয়ে আসার ওপরও জোর দেন।-বাসস

বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা হয়। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।’

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বিএনপি প্রতিনিধিদলকে বলেন, আজকের আলোচনা এবং আপনাদের সুচিন্তিত মতামত শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

আগামী ফেব্রুয়ারিতে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। তাই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে আলোচনা শুরু করেছেন তারই অংশ হিসেবে আজ বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আলাপ-আলোচনায় মাধ্যমে যে কোনো ইস্যু সমাধানের বহু পথ খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, আপনাদের প্রস্তাবসমূহ পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এক ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে রাষ্ট্রপতি একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া একটি সার্স কমিটি ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে তার দলের প্রস্তাবসমূহ তুলে ধরেন। তিনি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন এবং গণপ্রতিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের জন্য তার দলের প্রস্তাবও তুলে ধরেন।

খালেদা জিয়া আলোচনার জন্য বিএনপিকে আহ্বান জানানোয় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগে রাষ্ট্রপতির সাফল্য কামনা করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, তার দল নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি আগামী ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির সঙ্গে, ২১ ডিসেম্বর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে এবং ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সঙ্গে সংলাপ করবেন।