গাইবান্ধা,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় আলোচিত সংসদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গায় তার নিজ বাসায় বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দিবাকর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে আগামীকাল (রবিবার) মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে এমপি লিটনের শ্যালক বেদারুল আহসান বেতার জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। আজ (শনিবার) বিকেলে তিনি নিজ ঘরে টেলিভিশন দেখছিলেন। হঠাৎ মোটরসাইকেলে তিন যুবক এমপি লিটনের বাড়িতে আসে। এ সময় তিনি ঘরের সামনের বারান্দায় বসেছিলেন।
যুবকরা হেলমেট পরা ছিল। একজন মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। দুই যুবক ঘরে ঢুকেই এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে কাজের দু-তিনজন লোক ছাড়া কেউ ছিলেন না।
স্থানীয়রা জানান, এমপি লিটনের বাড়ির পাশে স্থানীয়দের আয়োজনে একটি ইসলামি মাহফিল চলছিল। বাদ আসর থেকে শুরু হওয়া মাহফিলের আশপাশের লোকজনসহ বহিরাগতদের সমাগম ছিল।
সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে তিনি এমপি লিটনের বাড়ি অবস্থান করছেন। কীভাবে এমপি লিটন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২ অক্টোবর এমপি লিটনের পিস্তলের গুলিতে আহত হয় গোপালচরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাহাদত হোসেন সৌরভ (১২)। এ ঘটনায় সৌরভের বাবা সাজু মিয়া বাদী হয়ে ৩ অক্টোবর এমপি লিটনকে একমাত্র আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। গত ১৫ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে আটক করে। ২৪ দিন জেলহাজতে থাকার পর গাইবান্ধা জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ২৪ দিন চিকিৎসা নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর সৌরভ বাড়ি ফেরে।