নিউজ ডেস্ক, বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: আবারও রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের স্থায়ীত্বকাল ছিল প্রায় ৩০ সেকেন্ড। মাত্রার ছিল ৫.৫।
মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে হঠাৎ করেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে রাজধানীসহ গোটা দেশ।
ঢাকা থেকে প্রায় ১৬২ কিলোমিটার পূর্বে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত ত্রিপুরা রাজ্য ছিল এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।
তবে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের পরিমাণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্প বেশি অনুভূত হয়েছে কুমিল্লা, ফেনীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে। অন্তত তিনবার ভূমিকম্প প্রচণ্ড ঝাকুনি দেয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এছাড়া সিলেটেও ভূমিকম্পের মাত্রা ও স্থায়ীত্ব কিছুটা বেশি ছিল বলে স্থানীয় প্রতিনিধি জানিয়েছে। পাশাপাশি ময়মনসিংহ, নেত্রকোনায়ও শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পের সময় রাজধানীবাসীর সাধারণ মানুষদের ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেককেই শিশু সন্তানদের কোলে নিয়ে নিজেদের বাসা ছেড়ে পথে নেমে আসতে দেখা গেছে। ভূমিকম্প আর চিৎকার-চেঁচামেচিতে মুহূর্তেই নগরীজুড়ে নেমে আসে উৎকণ্ঠা ছায়া।
এর আগে ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে মে মাসে নেপালে বেশ কয়েকটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে ৮ হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। যার ধাক্কা এসে লাগে বাংলাদেশও।
এতে বাংলাদেশে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বহুতল ও পুরাতন ভবনে ফাটল দেখা দেয়; আতঙ্কে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে।
এর পর থেকেই বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, বাংলাদেশ বেশ বড় মাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদিও ২০১৫ সালেও কয়েক দফায় কম শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এই ব-দ্বীপ দেশটিতে।