নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের সেদেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনদিনের সফররত মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিউ তিন সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
প্রেসসচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পুনরোল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিবেশী কোন দেশের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য কোন সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে তার ভূখণ্ড ব্যবহারের সুযোগ দেবে না।’
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে।’
বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে মিয়ানমার শিক্ষা নিতে পারে। এসময় প্রধানমন্ত্রী অং সান সু চিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠককালে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অং সান সু চির একটি চিঠি হস্তান্তর করে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর এবং সহযোগিতাপূর্ণ করতে ইচ্ছুক মিয়ানমার। দু’দেশের মধ্যে একটি সীমান্ত লিয়াজোঁ অফিস খোলার বিষয়েও মিয়ানমারের প্রতিমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সুরাইয়া বেগম, পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক এবং ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ মিয়ো মিন্ট।