হাকিকুল ইসলাম খোকন,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম :সিলেট এমসি ও গভঃ বিশ^বিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ যথাযথ মর্যাদায় ৪৬তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে।
গত ২ই এপ্রিল, রোবাবর দুপুর ২টায় এষ্টোরিয়া, নিউইয়র্ক-এনওয়াই-১১১০৬,এর জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমরিকার অফিসে সিলেট এমসি ও গভঃ কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ সভাপতি বেলাল উদ্দিন-এর সভাপতিত্ত্বে ও সাধারান সম্পাদক জামাল সুয়েজ আহমদ-এর সাবলীল উপস্থাপনায় অনুষ্টিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন আমেরিকা-বাংলাদেশ এলাইন্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড-এর আহ্বায়ক ও সিলেট এমসি ও গভঃ কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধ তোফায়েল আহমদ চৌধুরী , মুক্তিযোদ্ধ আকতার আহমদ চৌধুরী ও সিলেট এমসি ও গভঃ কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ সাবেক সভাপতি সুফিয়ান আহমদ খান এবং জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমরিকার সাবেক সভাপতি আবদুল বাসেত। আলোচনা সভায় সুভেচছা বক্তব্যে রাখেন সিলেট এমসি ও গভঃ কলেজ এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ সহ সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী।
আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাখেন সাবেক সাধারান সম্পাদক সাখাওয়াত আলী,আজিজুর রহমান বুরহান,আমিনুল হক চুননু, মো:রহমান সাচচু,মো:হাসইন ছরওয়ার ।
অতিথিদর মাঝে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান প্রেসক্লাব অব বাংলাদেশ অরিজিন-এর
সভাপতি সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ও কটিয়াদিনিঊজ ডটকম সম্পাদক আয়েশ আক্তার রুবি । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাজি আবদুল ওদুদ,কবির আহমদ,গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী , মো:ঊছমান, রোকশানা উদ্দিন,মিতা চৌধুরী ,এহতেশাম চৌধুরীসহ আরা অনেকে।
আলোচনা সভায় বক্তৃতাগন মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে নিউইয়র্কবাসীদের বিশেষ করে মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে জর্জ হ্যারিসন, রবি শংকরসহ অন্যান্য পপ তারকার ”কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” স্বাধীনতা সংগ্রাম বেগবান করতে যে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল তা বিশেষভাবে তুলে ধরেন।খবর বাপসনিঊজ । আলোচনা সভায় বক্তৃতাগন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আট বছর ধরেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়েছে। প্রবাসী আয় কয়েকগুণ বেড়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিছু অপশক্তি বাংলাদেশের এ অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চায়। এসব অপশক্তিকে সকলে মিলে রুখে দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় স্ব-স্ব অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান।
বক্তৃতাগন বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সফলতার সাথে এমডিজি অর্জন করেছে। এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এসডিজি’র ১৭টি লক্ষ্য ও ১৬৯টি টার্গেট পূরণে দেশকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ জাতিসংঘে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচী বাস্তবায়নে বক্তৃতাগন প্রবাসীদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা এবং কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বক্তৃতা করেন। বক্তারা জাতির পিতার নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য প্রাক্তন সভাপতি সুফিয়ান আহম্মদ খানের সৌজন্যে সিলেট এমসি ও গভঃ বিশ^বিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক তিন শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরী, তোফায়েল আহম্মেদ চৌধুরী ও আকতার আহম্মেদ চৌধুরীকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রধান করা হয় ।
পরিশেষে, ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবারে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
সবার প্রারম্ভে ১৯৭৫-এর ১৫ আগষ্ট স্বপরিবারে নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, ডাঢা কেন্দ্রিয় কারাগারে চার জাতীয় নেতা, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকৃত ৩০ লাখ শহীদ ও ১৯৫২- এর মহান ভাষা আন্দোলনসহ আজ পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্মরনে সভায় দাঁড়িয়ে এক মিনটি কাল নিরাবতা পালন করা হয়।