যশোর,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম:যশোরে চলন্ত মোটরসইকেলে গুলি করে যুবলীগ কর্মী এজাজ হোসেনকে (৪৫) গুলি করে হত্য করা হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ঝাউদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেজো ছেলে।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে ছাতিয়ানতলা মল্লিকবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। দেড় বছর আগে সন্ত্রাসীদের হাতে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হয়েছিলেন এজাজের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম।
নিহত এজাজের সঙ্গী আন্তাজ আলী জানিয়েছেন, ৪/৫ বছর ধরে তাদের বাড়িতে কাজ করছেন তিনি। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এজাজ ও তিনি একটি মোটরসাইকেলে করে চুড়ামনকাটি বাজারে আসেন মুলা বিক্রি করতে। ভোরেই ক্ষেতের ৬ মণ মুলা নছিমনের করে বাজারে পাঠানো হয়। মুলা বিক্রি করে তারা মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেল এজাজ নিজে চালাচ্ছিলেন। সকাল ৮টর দিকে ছাতিয়ানতলা ও ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের মাঝামাছি মল্লিকবাড়ি মোড়ে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি নীল রং এর পালসার ব্রান্ডের মোটরসাইকেলে দুইজন ফলো করতে করতে আসে। দুইজনের মাথায় হেলমেট ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্রই এক সন্ত্রাসী পেছন থেকে তার মাথায় একটি গুলি করে। সাথে সাথে তিনি মাটিতে পরে যান। মোটরসাইকেল নিয়ে তিনিও মাটিতে পরেন। এরপর সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
আন্তাজ আলী জানিয়েছেন, দুই সন্ত্রাসীর হেলমটে পড়া থাকলেও ধারনা করা হচ্ছে, যে গুলি করেছে তার নাম সবুজ। ঝাউদিয়া গ্রামের আবুল খায়ের ওরফে খুড়োর ছেলে সে। পেছনে বসা ছিল সে। আর মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল একই গ্রামের মেহের আলী। ওই গ্রামের সন্ত্রাসী মোস্ত গ্রুপের সদস্য সে। গুলি করার পর তিনি একটি ইঞ্জিন চালিত ভ্যানে করে আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আব্দুর রশিদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতে ভাই বাদল হোসেন ও রমিজ উদ্দিন জানিয়েছেন, মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী মোস্তর সাথে তাদের দীর্ঘ দিনের বিরোধ আছে। বছর দেড়েক আগে ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে তার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম খুন হন। এই ঘটনায় মোস্ত ও তার গ্রুপের লোকজনের নামে মামলা হয়। মামলাটি এখনো চলছে। তারই জের ধরে মোস্ত বাহিনী তার ভাই এজাজকে খুন করেছে। এজাজ যুবলীগের কর্মী। চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার সাথে থাকতো এজাজ। মোস্ত ও মুন্নার মধ্যে রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে বিরোধ আছে। ৫/৬ মাস আগে মোস্ত বাহিনীর লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায় এই ঘটনায়ও কোতয়ালি থানায় মামলা হয়।
কোতয়ালি থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, চুড়ামনকাটিতে একজনকে গুলি করা হয়েছে বলে জানতে পেরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে এই ব্যাপারে পুলিশ অনুসন্ধান করছে।