খুলনা,বাংলাটিভি৭১.কম: জেলার রফতানিযোগ্য হিমায়িত মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডের আড়ালে নকল ওষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধসহ প্রতিষ্ঠানের মালিক কাজী শাহনেওয়াজ ও কর্মকর্তা শরীফ রহমানকে আটক করা হয়।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে খুলনার রূপসা উপজেলার চর রূপসা এলাকায় ‘শাহনেওয়াজ সি ফুডে’ এ অভিযান চালানো হয়।
শিল্পপতি কাজী শাহনেওয়াজ ‘শাহনেওয়াজ গ্রুপে’র চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
খুলনার র্যাব-৬ এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর চর রূপসার ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় এসিআই কোম্পানির এন্টিবায়োটিক ফ্লুক্লক্স ক্যাপসুল পাওয়া গেছে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার পিস। রেনিটিড ট্যাবলেট পাওয়া গেছে এক বস্তা। আরও চার বস্তা বিভিন্ন নামের ওষুধ জব্দ করা হয়। ওষুধের খালি খোসা পাওয়া যায় প্রায় আড়াই লাখ পিস। আছে নকল ওষুধের কাঁচামাল, চালের গুঁড়া, কসমেটিক, কেমিক্যাল, পাউডারসহ কয়েক কোটি টাকার উপকরণও জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এই কারখানায় গোপনে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ তৈরি হতো। পরে এসব ভেজাল ওষুধ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হওয়ার খবর ছিলো আমাদের কাছে। গোয়েন্দা নজরদারির পর নিশ্চিত হয়েই শাহনেওয়াজ সি ফুডে অভিযান চালানো হয়।’
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফিরোজ আহম্মেদ জানান, ঢাকার মিটফোর্ডসহ (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল) বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে এ চক্রটির যোগাযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চক্রটি এসব হাসপাতাল থেকে অর্ডার নিয়ে এখানে গোপনে নকল ওষুধ তৈরি করে। অভিযান শুরুর আগেই চক্রের সবাই পালিয়ে গেছে।
প্রতিষ্ঠানের মালিক কাজী শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানি বন্ধ থাকায় দুই মাস আগে জাকির হোসেন নামে একজনের কাছে ভবনটি ভাড়া দেন তিনি।
র্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, কাজী শাহনেওয়াজ ও শরীফ রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হবে।