সিলেট,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: চোখের জলে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকেল থেকে সিলেট নগরীর সুরমা নদীর ক্বীনব্রিজের নিচের চাঁদনীঘাটে শুরু হয় একে একে প্রতিমা বিসর্জন। রাত পর্যন্ত চলবে বিসর্জন।
প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষ্যে শঙ্খ উলুধ্বন্নির পাশাপাশি বাদ্যের ঘণ্টা বাজিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে নদী তীরে ভিড় করেন ভক্ত অনুরাগীরা। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মের নানা শ্রেণি ও বর্ণের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় সুরমা তীর।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় এ বছর দুর্গা দেবী ঘোটকে (ঘোড়া) করে মর্ত্যলোকে এসেছিলেন। আর ভক্তদের আর্শিবাদ দিয়ে তিনি আবার ঘোটকে চড়েই কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাচ্ছেন।
তিথি অনুযায়ী, গত ৩০ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল দেবীপক্ষ। আর ৭ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতায় দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার শেষ হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজার।
দুর্গার বিদায় উপলক্ষ্যে সকাল থেকে বিদায়ের সুর বেজে উঠে বিভিন্ন মণ্ডপে। বিকেল থেকে মহানগরীর বিভিন পূজা মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ট্রাকবাহী প্রতিমা নিয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বিজয়া শোভাযাত্রা নিয়ে পূজারী ও ভক্তরা জড়ো হতে শুরু করেন ক্বীনব্রিজের নিচের চাঁদনীঘাটে। এরপর বিকেল ৩টায় শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি সিলেট জেলা শাখার তথ্য অনুযায়ী, এবার সিলেট জেলার পূজামণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৫৮৬টি। এর মধ্যে নগরীতে ৬৪টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হয়।
এদিকে, প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে সুরমার তীরে মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
অন্যদিকে, বিজয়া দশমীতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে নগর জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও মাঠে রয়েছে। দেবী বিসর্জনের স্থান সুরমার তীরেও পুলিশের কড়া নজরদারী রয়েছে। এসব কথা জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ।