টাঙ্গাইল,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই বক্তব্য শুধু কথার কথা নয় বাস্তবেও, বাংলাদেশে শারদীয় দুর্গোৎসবে তা প্রমাণিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বিজয়া দশমীর দিন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঐতিহ্যবাহী দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে এসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে সড়ক পথে ভারতীয় হাই কমিশনার কুমুদিনী হাসপাতাল কমপ্লেক্সে পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান, কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা। এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার পরিচালক দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার পুত্রবধূ শহীদ জায়া শ্রীমতি সাহা, শিক্ষা বিষয়ক পরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম।
পরে তিনি ছোট্ট খেয়া নৌকায় লৌহজং নদী পার হয়ে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। সেখানে মণ্ডপের পুরোহিত ভারতীয় হাই কমিশনারকে চন্দনের ফোটা লাগিয়ে দেন। মণ্ডপে তিনি কিছু সময় অবস্থান করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি রাজেশ ও এ্যাটাসি প্রেস রঞ্জন। এরপর তিনি তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করেন। কলা পাতায় ইলিশ ভাজীসহ প্রায় ৩০ রকম খাবারের পদ দিয়ে আপ্যায়িত করা হয় হাই কমিশনারকে।
পরে তিস্তা পানি চুক্তি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তিস্তাসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দুদেশের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। অচিরেই এসব বিষয়ের ফয়সালা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভারতীয় ভিসা সহজ করা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে হাই কমিশনার বলেন, ‘ভিসা পদ্ধত্তি অনেক সহজ করা হয়েছে। প্রবীণ ব্যক্তি ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভিসা পেতে এখন আর ই-টোকেনের প্রয়োজন হচ্ছে না।’ আবেদন করলেই যেকোনো দিন স্বাক্ষাতার ছাড়াই তাদের ৫ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পরে হাই কমিশনার কুমুদিনী হাসপাতাল ও ভারতেশ্বরী হোমস পরিদর্শন শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।