নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) বহিরাগত ওয়ার্ডবয়ের ভুল ইনজেকশনে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পোওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ওয়ার্ডবয়কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় ঢামেকের ২০০ নাম্বার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত জনগণের নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মৃত রোগীর নাম বিপ্লব মন্ডল (২২)। পিতা বিনোধ মন্ডল। তিনি কেরানীগঞ্জের বাসবাড়ি বদ্যেরচর এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের বড় ভাই মিন্টু মন্ডল জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাদের নিজ এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিপ্লব আহত হন। এতে ঢামেকের নিউরোসার্জারি বিভাগে ২০০ নাম্বার কক্ষে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আজ বিকাল চারটায় প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করেন বিপ্লব। এ সময় ওই ওয়ার্ডে কোনো ডাক্তার না পেয়ে তারা কথিত ওয়ার্ডবয় সুমন (২৫) এর শরণাপন্ন হয়। তখন সুমন একটি ইনজেকশন পুশ করলে কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়ার্ডবয় সুমনকে গণপিটুনি দিয়ে হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া তাকে শাহবাগ থানায় পাঠান।
এ ঘটনায় হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সুমন হাসপাতালের কেউ নন। তিনি ওয়ার্ডবয়ও নন। হাসপাতালের এক নেতার নির্দেশে তিনি এই ওয়ার্ডে কাজ করেন। রোগীদের সহযোগিতা করে তিনি যে টাকা পান এর একটা অংশ ওই নেতা পান বলে তার অভিযোগ।
ঘটনাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল সকালে ঘটনার তদন্ত করে সুমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ক্যাম্প ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঢামেকের প্রতিটা ওয়ার্ডেই ডাক্তার-নার্সদর কাজ ওয়ার্ডবয়দের দিয়ে করানো হচ্ছে। তাদের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি নিতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।