লক্ষ্মীপুর,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: চুরির অপরাধে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে তিন যুবকে বিদ্যুৎতের খুঁটির সাথে হাত-পা বেঁধে বর্বর নির্যাতন শেষে উল্লাস করার অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের টাউন হল রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, শহরের টাউন হল রোডের বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সেইফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কর্মকর্তা কর্মচারীরা চোর সন্ধেহে তিন যুবককে বেধরক মারধর করে। তারা ওই যুবকদের পুলিশে না দিয়ে মাথার চুল কেটে বিদ্যুৎতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। এর আগে তাদের তিনজনকে চুরির অপরাধে ধরে আনা হয় । পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে নির্যাতিত তিন যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে নির্যাতিত তিন যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
নির্যাতিত তিন যুবক হলেন, রামগতি উপজেলার শিক্ষা গ্রামের তাফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাসুদ ও সফিউল আলমের ছেলে লিটন বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
যুবকরা জানান, বাড়ি ফেরার পথে তাদেরকে গতিরোধ করে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। পরে চোর চোর বলে তাদের ধাওয়া করা হয়। চুরির সাথে জড়িত নয় এমন দাবি জানানোর পর তাদেরকে সেইফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পিছনে মারধর ও মাথা ন্যাড়া করে বৈদ্যুতিক খুটির সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। এ ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন নির্যাতিতরা।
সেইফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ম্যানেজার বেলাল হোসেন জানান, তাদের চিকিৎসা সেন্টারে এক রোগীর কিছু টাকা চুরি হয়। তখন তারা চোরকে শনান্ত করেন সিসি ক্যমরায়। পরে কয়েকজন যুবক চোরকে ধরে আনে সেইফ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। পরে তারা চোরকে কি করেছে তা তিনি জানেন না। চোরকে মারধর ও নির্যাতনে সেইফ ডায়াগনষ্টি সেন্টারের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ভুইয়া জানান, চুরির অপরাধে স্থানীয়রা তিন যুবককে মারধর শেষে পুলিশে দেয়। উদ্ধারকৃত তিন যুবক জনতার মারধরে আহত হওয়ায় তাদেরকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।