নেত্রকোনা,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: দীর্ঘ ১৪ বছর পর নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কিন্তু ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই কেন্দ্র ঘোষিত নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে ১২ জন কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে শহরের কুরপাড় এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে তাদের স্বাক্ষরিত এক পদত্যাগপত্র তুলে দেন।
এ সময় ছাত্রদল নেতা সারোয়ার আলম এলিন বলেন, ‘কমিটিতে আমাকে সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হয়েছে। কিন্তু দলের এ ধরনের পকেট কমিটির পদ আমি চাই না। দীর্ঘ সময় ধরে যারা বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে দলের জন্য নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে তারা কমিটিতে স্থান পায়নি। অযোগ্য আর মাদকসেবী -ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ পদমর্যাদায় নিয়ে আসা হয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে এ ধরনের বাজে কমিটি থেকে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি।’
নতুন কমিটি সহ-সভাপতি তৌফিক হাসান খান মিল্কি ও রায়হান ফারাস বাপ্পী বলেন, ‘দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে জেলায় কমিটি নেই। কমিটি ছাড়াই চলছিল কার্যক্রম। তারপরও দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছি। কিন্তু বর্তমান সময়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে নোংরা কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। এমন সব লোকদের পদায়িত করেছে, যারা সচরাচর রাজপথে নামেনি- এমনকি দলের পদ বহন করার জন্যেও তারা একেবারেই অপরিপক্ব।’
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহমান সাঈদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা যদি তাদের অবাঞ্ছিত এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা না দেন, তবে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। প্রয়োজনে দল থেকে সরে দাঁড়াবো আমরা। দলে আমাদের রাখবেন কি রাখবেন না এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভাবেন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করবেন কি না?’
এদিকে কমিটির বিরোধিতা করে পুলিশের ধাওয়ায় শহরে বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করে ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা। কমিটিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হাস্য-রসাত্মক লেখা পোস্ট করতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটিতে ফরিদ হোসেন বাবুকে সভাপতি ও অনিক মাহমুদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।