নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: শি জিনপিং এর সফরে চীনের সঙ্গে বৃহৎ দুটি সমঝোতা স্মারকে ও ৩টি প্রকল্পে আর্থিক ঋণ সহায়তা চুক্তিতে সই এবং একটি প্রকল্প কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
সরকারের পক্ষে ‘স্ট্রেনদেনিং দ্য ডেভেলপমেন্ট ইনফরমেশন সিল্ক রোড ফর ইনফরমেশন কানেকটিভিটি’ এবং ‘কো-অপারেশন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি’ শিরোনামের এই এমইউতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ইনফরমেশন সিল্ক রোড ফর ইনফরমেশন কানেকটিভিটি’র এমওইউ’তে চারটি আর্টিকেলে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। আর তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতার এমওইউতে রয়েছে ৯টি আর্টিকেল।
এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে আইসিটি খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন হয়েছে। চীনা রাষ্ট্রপতির এই সফরকালীন সময়ে আইসিটি বিভাগের সাথে ২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, ৩টি প্রকল্পে আর্থিক ঋণ সহায়তা চুক্তি এবং একটি প্রকল্প কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে। উভয় দেশের সরকার প্রধান কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ডেটা সেন্টার ‘Tier-IV uptime institute certified data centre’ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এছাড়া এসময় বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ফোর টায়ার ডেটা সেন্টার প্রকল্পের কাজ শুরুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
প্রসঙ্গত, চীনের আইসিটি মিনিস্ট্রি এবং ‘ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্ম কমিশন অব চায়না’ এর সাথে বাংলাদেশের আইসিটি ডিভিশনের সম্পাদিত ‘ন্যাশনাল ইনফ্রা নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট (ইনফো সরকার-৩)’ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সাল নাগাদ দেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।
আর ‘ইস্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ই-কমার্স, ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক স্থাপন ও নিরাপত্তা খাতে তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ‘মর্ডানাইজেশন অব রুরাল অ্যান্ড আরবান লাইভস ইন বাংলাদেশ থ্রু আইসিটি’ প্রকল্পের আওতায় শহর এবং গ্রামের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য স্মার্ট সিটি সলিউশন ব্যবহার করা হবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনা প্রধানমন্ত্রীর সফরকারে সম্পাদিত এসব চুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় খাতগুলোর মধ্যে আইসিটি খাতকে অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।