নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং শোকাবহ পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পালিত হচ্ছে জগন্নাথ হল ট্রাজেডি দিবস।
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাবির জগন্নাথ হল পরিষদ ভবনের ছাদ ধসে ঝরে গিয়েছিল ৩৯টি তাজা প্রাণ। আহত হয়েছিল শতাধিক ছাত্র, কর্মচারী ও অতিথি। তাই এ দিনটি স্মরণ করে প্রতি বছর পালিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস।
এ বছর শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, অপরাজেয় বাংলা হতে শোক মিছিলসহ জগন্নাথ হলে গিয়ে অক্টোবর স্মৃতিসৌধে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ, নিরবতা পালন, উপাসনালয়ে প্রার্থনাসভা, রক্তদানসহ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সকালে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনাসভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “১৫ অক্টোবরের সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আমাদের ব্যথিত ও শোকাভিভূত করে। আর এর মাধ্যমেই জাতি-ধর্ম, বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে যে ঐক্যবদ্ধের পরিচয় পাই, তা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক সংহতির সাথে তুলনীয়।”
প্রো- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “১৫ অক্টবরের দুর্ঘটনা অত্যন্ত শোকাবহ, একই সঙ্গে লজ্জাজনকও। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় জ্ঞান অর্জনের জন্য, লাশ হয়ে ফিরে যাবার জন্য নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ট্র্যাজেডি কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনারই এক হৃদয়বিদারক দৃষ্টান্ত।”
আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, জগন্নাথ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার ও জগন্নাথ হল শোক দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক সন্তোষ কুমার দেব। এছাড়াও বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তী কর্মসূচিতে বাদ আছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ অন্যান্য সকল হল মসজিদে মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা হতে হল উপাসনালয়ে এ দুর্ঘটনা স্মরণে শোক সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও ভক্তিমূলক গান অনুষ্ঠিত হবে।