নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগেই তিস্তার পানি নিয়ে দিল্লির উপর প্রবল চাপ প্রয়োগ করেছে বাংলাদেশ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তিস্তা চুক্তি করতে রাজি করাতে ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু মমতা তিস্তা চুক্তি করতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে আগামীকাল রবিবার (১৬ অক্টোবর) পর্যটন নগরী গোয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকের আগেই তিস্তা চুক্তির জন্য ভারতের ওপর ঢাকা প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের মৎস্যমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ বলেছেন, ‘সন্ত্রাসকে পুরোপুরি নির্মূল করতে নরেন্দ্র মোদীর চিন্তা-ভাবনাকে যদি শেখ হাসিনা শতকরা একশো ভাগ সমর্থন করেন, তাহলে ভারত সরকারেরও উচিত তিস্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করা।’
আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয়েছে, পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক সম্মেলন বর্জনে ভারতের সিদ্ধান্তকে প্রথম সমর্থন করেছে বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশ সরকারের দাবি, ভারত এবার অবিলম্বেতিস্তা চুক্তিতে সই করুক।
নয়াদিল্লির কূটনীতিকরা আনন্দবাজার বলছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৬ অক্টোবরের বৈঠকে মোদি তিস্তার ব্যাপারে ইতিবাচক বার্তাই দেবেন। আর মমতার আপত্তিও মোদি দ্রুত মেটাতে করতে চাইছে।
এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সচিব ভাস্কর খুলবেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া তিস্তা নিয়ে সিকিমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে বিরোধ চলছে, তাও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং দিল্লি সফরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চলাকালে বলেছেন, তিস্তা চুক্তি সমর্থন করতে তার কোনো অসুবিধা নেই।
এদিকে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর মোদী তিস্তা নিয়ে মমতার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।