নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের হামলায় আহত সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হবে বলে জানিয়েছেন বাবা মাসুম মিয়া। তিনি বলেন, খাদিজার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তাকে হুইল চেয়ারে বসিয়েছিলেন চিকিত্সকরা। ডাকলে চোখ মেলে তাকায়। কিন্তু কাউকে চিনতে পারছে না। এখন পর্যন্ত কথা বলতে পারছে না। ডান হাত ও পা নাড়ালেও বাম পাশে কোনো নড়াচড়া নেই।
রবিবার স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের পরামর্শক মির্জা নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আজ সোমবার খাদিজার হাতে অস্ত্রোপচার করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হামলার আঘাত ঠেকাতে গিয়ে নার্গিসের হাতের মাসল চেইন কেটে গেছে। এজন্য অস্ত্রোপচার করতে হবে। চিকিত্সক বলছেন, খাদিজা বেঁচে গেছেন। এখন তার সুস্থতার চেষ্টা করছেন তারা। খাদিজার হাতে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হলে অবস্থার আরো উন্নতি হবে।
ডা. নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রথমে আমরা তাকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এখন তার সুস্থতার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। গত বৃহস্পতিবার খাদিজার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়। চিকিত্সকরা তখন বলেছিলেন, পরীক্ষামূলকভাবে খাদিজার লাইফ সাপোর্ট খোলা হচ্ছে। যদি তিনি লাইফ সাপোর্ট ছাড়া সুস্থ থাকেন তাহলে তাকে আইসিইউ থেকে সাধারণ ওয়ার্ড বা কেবিনে স্থানান্তর করা হবে। তবে গতকালও তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিত্সা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ৩ অক্টোবর ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের হামলায় আহত হন খাদিজা। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ৪ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তাকে আনা হয়। ওই দিনই খাদিজার অস্ত্রোপচার করা হয়। সর্বশেষ খাদিজার শ্বাসনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয়। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে সিলেট শাহপরাণ থানায় বদরুল আলমকে আসামি করে হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। ছাত্রলীগ নেতা বদরুল খাদিজার ওপর হামলার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।