চাটখিল (নোয়াখালী),বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: চাটখিল আফসারখিল গ্রামের ইউপি সদস্য আবু নাছের আশিক এর পোল্ট্রি ফার্মে গতকাল রবিবার গভীর রাতে মাওলানা আবু জাফর পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে শতাধিক মোরগ সহ মুরগির খামারের রাখা খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় চাটখিল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
চাটখিল থানার অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আবু জাফর হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়ালেখে শেষে আফগানিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণে যায়। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের আন্দোলনের সময় মাওলানা জাফর গুলিবিদ্ধ হয়। বর্তমানে সে আফসারখিলে তার বাবা ক্বারী আবদুল হক প্রতিষ্ঠিত দাওয়াতুল হক নামে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছে। এখানে সে বিভিন্ন সময় গভীর রাত পর্যন্ত অচেনা মানুষজন নিয়ে গোপন বৈঠক করে বলে এলাকায় জানাজানি হলে, এ ব্যাপারে তার আপন সহোদর ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার আবু নাছের আশিক বাধা দিলে, জঙ্গি সন্ত্রাসী মাওলানা জাফর আশিকের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ঘটনার রাতে মাদ্রাসার ছাত্র ও দৌলতপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে নাছিরের সহযোগিতায় পেট্রোল ছিটিয়ে পোল্ট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে বাড়ির লোকজনের সোর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। জঙ্গি মাওলানা আবু জাফরের বিধবা মাতা বিবি হাজেরা কান্নারত কণ্ঠে বলেন, সে আমাকে ভাত কাপড় তো দেয় না, উল্টো সময়-অসময় অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। ঐ মাদ্রাসার হেফজ্ বিভাগের ছাত্র বুরাইদ বলে, হুজুর মোটর সাইকেল থেকে পেট্্েরাল নিয়ে মোরগের ঘরে চারপাশে ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। একই বাড়ীর আলী আজ্জমের ছেলে আহম্মদ উল্যা বলেন, প্রায়ই সময় তার কাছে বিভিন্ন সময় অপরিচিত লোকজন আসে, তখন সে মাদ্রাসার দরজা বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বাবুল বলেন, মাওলানা জাফর অত্যান্ত জঘন্য মিথ্যাবাদী সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী। সে আইন শালিশ মানে না। চাটখিল থানার এ.এস.আই মহসিনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জাফর মাওলানা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত বলে জানতে পেরেছি।