নিজস্ব প্রতিবেদক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ডে ৫ জন জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
নাজিমুদ্দিন হত্যায় মামলায় গ্রেফতার রাশেদুন্নবী আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) ডিবি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মনিরুল।
তিনি বলেন, রাশেদুন্নবী ২০১৫ সালে আনসার আল ইসলামে যোগ দেয়। এরপর তিনি দাওয়াতের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি অপারেশন শাখার দায়িত্বও পালন করছিলেন।
মনিরুল আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদুন্নবী জানিয়েছেন, নাজমুদ্দিন হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি বাসা ভাড়া নেয়া হয়। এই হত্যায় অংশ নেয় তিনিসহ ৫ জন। তাদের মধ্যে ৪ জনের হাতে চাপাতি ও একজনের হাতের আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।’
রাশেদুন্নবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান কাউন্টার টেরোরিজম প্রধান।
সম্প্রতি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হত্যার হুমকির বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একটি ব্যক্তিগত নম্বর থেকে হুমকিগুলো দেয়া হয়েছে। হুমকিদাতা কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল রাতে সূত্রাপুরের একরামপুরে নাজিমুদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রবিবার রাতে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে রাশেদুন্নবীকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ও গোয়েন্দা পুলিশ। এই ঘটনায় প্রথম কাউকে গ্রেফতার করা হলো হত্যাকাণ্ডের ৬ মাস পর।