নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: মিয়ানমারের সৈন্যরা রোহিঙ্গা মুসলিমদের টার্গেট করছে। বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্বজনরা এ অভিযোগ করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, সৈন্যরা এসে রোহিঙ্গাদের প্রতিটি বাড়িতে তল্লাশি করছে। বাড়ি পুড়িয়ে দিতে দ্বিধা করছে না সৈন্যরা। বাড়ি থেকে কাউকে বের হতে দেখলেই গুলি চলানো হচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতে রোহিঙ্গা মুসলমান এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই যেখানে সহিংসতা হচ্ছে। ওই জায়গাটিতে মিয়ানমারের সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাংলাদেশে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে বসবাস করেন হারুন শিকদার। তিনি বলেন, সীমান্তের ওপারে হেলিকপ্টার ওঠানামা দেখে তারা ধারনা করছেন মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে।
তিনি জানান, মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে নাফ নদীতে বাংলাদেশী জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ গেছে। টেকনাফের উলুবুনিয়া এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা ওসমান গনি জানান, তার ভাই মিয়ানমারে বসবাস করছে। টেলিফোনে ভাইয়ের সাথে তার যোগাযোগ হয়েছে।
তিনি জানান, সৈন্যরা এসে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। এখন তিনি বাংলাদেশ সীমানার কাছে জঙ্গলে লুকিয়ে আছেন। নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি করছে। দুই দিনে প্রায় ১০০ ঘর পুড়িয়েছে। টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল-জাহিদ জানিয়েছেন, মিয়ানমারে যেদিন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উপর হামলা হয়েছে সেদিন থেকেই তারা সীমান্তে টহল জোরদার করেছেন।
তিনি বলেন মিয়ানমারের সংঘাতের কোন প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। সেখানে শুরু হবার পর কেউ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেনি।