নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি নদীতে চার দিন আগে ফেরিডুবির ঘটনায় প্রায় একশ’ জনের প্রাণহানির আশংকা করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত ১৫৪ জনকে জীবিত এবং ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকর্মীদের আশংকা, নিখোঁজদের সবাই ইতোমধ্যেই মারা গেছেন। ফলে এ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা একশ’ জনে পৌঁছতে পারে।
গত শনিবার মোনিওয়া শহরের ৭২ কিলোমিটার উত্তরে চিন্দউইন নদীতে এ ফেরিডুবির ঘটনা ঘটে।
এ পর্যন্ত ৩২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে আরও প্রাণহানির আশংকার করছেন দেশটির ত্রাণ বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান সা উইলি ফ্রাংক।
তিনি বলেছেন, আমরা ডুবে যাওয়া ফেরিটিকে শক্ত রশি দিয়ে বেঁধে একটি ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এটি তীরে আনার প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ার আশংকা করছি।
তিনি জানান, একশ’ জন ধারণ ক্ষমতার ফেরিটিতে প্রায় ২৪০-২৫০ জন যাত্রী ছিল।
যাত্রীদের মধ্যে মোনিওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০জন শিক্ষক এবং শ’ খানেক ছাত্র ছিল। তারা বৌদ্ধ ধর্মীয় ‘প্রবারণা পূর্ণিমা’ বা থেরিংগিত উৎসব উদযাপনের জন্যে মোনিওয়া থেকে হোমালিন যাচ্ছিলেন।
এদিকে ফেরি ডুবির ঘটনায় এর চারজন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। কর্তৃপক্ষ ফেরির অন্য কর্মী এবং মালিককে গ্রেফতারের জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে।
মিয়ানমারের প্রায় সময়েই নৌদুর্ঘটনা ঘটে। এতে ব্যাপক প্রাণহানিও ঘটে। গত এপ্রিলে মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলীয় মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য রাখাইনে এক নৌকাডুবির ঘটনায় নয় শিশুসহ ২১ জন প্রাণ হারায়।
এর আগে ২০১৫ সালের মার্চে পশ্চিম উপকূলে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই একটি নৌকাডুবিতে ৫২ জন মারা যান।