নিউজ ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: মাথায় বড় ধরনের আঘাতের কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে বিকাল ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক ডা. এনামুল হক এই তথ্য জানান।
ডা. এনামুল হক জানান, লিপুর মাথায় ডান পাশে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আর বুকের দুপাশে দুটো হাড় ভেঙে গেছে। শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের পাশের ড্রেন থেকে লিপুর লাশ দেখতে পান হলের এক কর্মচারী। পরে পুলিশকে জানালে সাড়ে সকাল ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক মর্গে পাঠায়। পরে লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলাম ও প্রদীপ নামের দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
মোতালেব হোসেন লিপুর বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডু থানার মকিমপুর গ্রামে। পিতার নাম বদর উদ্দিন। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৫ সালে দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় নূন্যতম ক্রেডিট না পাওয়ায় তাকে পুনরায় দ্বিতীয় বর্ষে থাকতে হয়। আগামী ২ নভেম্বর লিপুর দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন লিপু।
লিপুর এক সহপাঠী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত পরশু (মঙ্গলবার) রাতে তার সঙ্গে আমার কথা হয়। তখন সে আমার কাছে পরীক্ষার নোট-পত্রের খোঁজ-খবর করছিল। পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছিল।’
এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে ৩টার দিকে লিপুর লাশ বিভাগের শিক্ষকদের নিকট হন্তান্তর করা হয়েছে। বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লাশ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার লাশ দাফন করা হবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার একরামুল হক বলেন, ‘তদন্ত শুরু হয়েছে। আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল ও লিপুর কক্ষ থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে।’