লক্ষন বর্মন,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: মা’র পর অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাবা। ৯ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাদিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গত সোমবার নরসিংদীর সদর উপজেলার শীলমান্দি ইউনিয়নের তুলশীপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পাষন্ড সন্তানের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয় মা জমিলা বেগম(৫০)। ওই সময় ছেলের এলোপাথারী কোপের আঘাতে গুরুত্বর আহত হয় বাবা মতি মিয়া(৬০) । এ ঘটনায় থানায় সদর মডেল থানায় হত্যা মামালা দায়ের হলেও গ্রেপ্তার হয়নি পাষন্ড ছেলে শরীফ।
পুলিশ,এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত মতি মিয়া স্থানীয় এক সমবায় সমিতিতে ক্যাশিয়ার পদে চাকুরী করতো। সমিতির লোকজন নিহত মতি মিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আতœসাতের অভিযোগ তুলে তার বাড়ি দখল করে নেয়। নিরুপায় হয়ে মতি মিয়া বাড়ির সামনে একটি কলাবাগানে অস্থায়ী ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। এতে বিদেশ ফেরৎ ছেলে শরীফ মিয় খুব মর্মাহত হয়। প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত উপার্জন দিয়ে তৈরী করা বাড়ি পিতার ভুলে কারনে বেদখলের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি নিহতের সন্তান শরীফ মিয়া। এ নিয়ে পিতা-মাতার সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরই জের ধরে গত ১০ই অক্টোবর সোমবার বিকেলে উত্তেজিত শরীফ মিয়া দা দিয়ে তার পিতা মতি মিয়াকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এসময় স্বামীকে বাচাতে তার মা এগিয়ে এতে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে । এতে ঘটনাস্থলেই মা জমিলা বেগমের মৃত্যু হয় । গুরুত্বর আহত হয় মতি মিয়া। পরে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। চিকিৎসার ৯দিনের মাথায় বুধবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে সোহেল মিয়া তার ছোট ভাই শরীফ মিয়াকে প্রধান আসামী করে ও অজ্ঞাত নামা আরো ১০ জনকে আসমী করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া জানান, ঘটনার পর পরই গাঁ ডাকা দেয় শরীফ। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।