শাকিল মুরাদ,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: নিজের বাবার হাতে মাসের পর মাস ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। সে এখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবা নামের ওই নরপিশাচের নাম মো. হানিফ উদ্দিন (৪২)। সে শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোবাঘাট এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা সদর হাসপাতালে ওই কিশোরী ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের হদিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নরপিশাচ হানিফ উদ্দিন পেশায় দিনমজুর। সে ইটভাটা ও কৃষি শ্রমিকের কাজ করে। তাঁর স্ত্রী দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। একটি টিনের চালা ঘরে সবাই বসবাস করে।
মেয়েটি সাংবাদিকদের জানায়, প্রায় ১ বছর আগে বাবা তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। তারপর থেকে মাঝে মধ্যেই তাকে ধর্ষন করে আসছিল। লজ্জায় ভয়ে এ ঘটনাটি কাউকে বলতে সাহস পায়নি সে। অনেক চেষ্টা করেও নিজের কুলাঙ্গার বাবার হাত থেকে সে রেহাই পায়নি।
মেয়েটির মা সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামী চরিত্রহীন-লম্পট এটা জানতাম। কিন্তু নিজের ঔরসজাত সন্তানের সাথে এই রকম করবে ভাববার পারি নাই। ওর শরীরের লক্ষন অন্যরকম দেখতে পাইয়া আমরা ওকে চাপ দিলে সে বাপের অপকর্মের কথা জানায়।
শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক জীবন চন্দ্র বর্মণ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বুধবার রাতে ওই কিশোরীকে বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে লম্পট বাবা হানিফ পালিয়ে যায়। ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে কিশোরীকে এদিন বিকেলে ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য আদালতে পাঠানো হলে সে বাবার অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে।
শেরপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. আব্দুল মোবারক হোসেন বলেন, মেয়েটির বক্তব্য অনুযায়ী তার বাবার হাতে সে ধর্ষিতা হয়েছে। তিনি বলেন, পরীক্ষা নিরীক্ষায় মনে হয়েছে মেয়েটি ৬ মাসের গর্ভবতী। তবে ডিএন এ টেস্টে সবকিছু পরিস্কার হবে।
শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার লাবনী খন্দকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এসব কথা বলতেও ঘৃণা লাগে। এই লোক মানুষ নয় নরপিশাচ। পুলিশ ওই শয়তানকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।