বিনোদন ডেস্ক,বর্তমানকণ্ঠ ডটকম: সম্প্রতি নন্দিত পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবি ‘ ডুব’এর কাজ শেষ হল। আগামী শীতেই ছবিটি মুক্তি দেয়ার কথা চলছে। এদিকে কোন মিডিয়ার প্রচারণা ছাড়াই ছবিটির কাজ শেষ করলেন পরিচালক। এমনকি তিনি জানাননি কি গল্পে নির্মিত হচ্ছে ‘ডুব’ ছবিটি।
এদিকে গতকাল ৩ নভেম্বর ভারতীয় পত্রিকা আনন্দবাজারের একটা সংবাদে বিস্ফোরণ সৃষ্টি হয় বাংলা মিডিয়ায়। সেখানে জানান হয় ফারুকীর আসন্ন সিনেমা নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের খ্যাতিমান সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জীবনী নিয়ে। আর এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অভিনেতা ইরফান খান।
পত্রিকাটিতে প্রকাশ হয়, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ ছবিতে ইরফান খান অভিনয় করছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রে। গল্পটাও নাকি অনুপ্রাণিত তার জীবন থেকে। যদিও অভিনেতা থেকে পরিচালক কেউই এ ব্যাপারে ‘কনফার্ম’ করছেন না কিছুই।
এদিকে জানা যায়, হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রে ইরফান ছাড়াও তার কন্যা শীলা আহমেদের চরিত্রে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। এবং হুমায়ূন আহমেদের প্রথম পক্ষের স্ত্রী গুলতেকিনের ভূমিকায় রয়েছেন রোকেয়া প্রাচী।
অন্য দিকে ডিভোর্সের পর ২০০৫ সালে বিয়ে করেন মেহের আফরোজ শাওন-কে। শাওনের চরিত্রে অভিনয় করছেন টালিগ়ঞ্জের পার্নো মিত্র।
এদিকে প্রশ্ন জাগে, কেনই বা হুমায়ূন আহমেদের চরিত্রে ইরফান অভিনয় করছেন তা জানা সত্ত্বেও এত দিন সেটা মিডিয়া থেকে লুকিয়ে রাখা হল?
এই প্রশ্নের জবাবে ফারুকী বলেন, ‘আমি চাইছি দর্শক ছবিটা দেখুক আগে। আমি নিজেও হুমায়ূন আহমেদের বিরাট ফ্যান। এটুকুই বলব, আমি একটা পরিবারের গল্প বলছি, কয়েকজন মানুষের ভাললাগা, দুঃখ, ক্ষোভ, হিংসা — এই আবেগগুলো ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি। সেটা কার জীবন অবলম্বনে, সেটার বিচার ছবি দেখার পরে হলেই বেটার,।’
ইরফান খান ছবির শ্যুটিংয়ের আগে হুমায়ূন আহমেদের প্রচুর ভিডিয়ো দেখেছিলেন। সেগুলো দেখেই হুমায়ূন আহমেদের কথাবার্তা বলার ধরন — এ সব নিয়ে হোমওয়ার্ক করেছিলেন।
প্রসঙ্গত এই ছবিটা একসঙ্গে প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের জ্যাজ মাল্টিমিডিয়া, অশোক ধানুকার এসকে মুভিজ এবং ইরফান খান স্বয়ং। ছবির গোটা শ্যুটিংটা হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন লোকেশনে যেমন গুলশন, রাঙামাটি, বান্দরবান এবং বনানী।
হুমায়ূন আহমেদের জীবনী নিয়ে নির্মিত ছবি প্রসঙ্গে তার বড় মেয়ে শীলা আহমেদ বলেন , ‘ফারুকীর ছবিতে যদি লেখা থাকে ‘এটা হুমায়ূন আহমেদের জীবন অবলম্বনে’ তা হলে অবশ্যই ওর আমাদের কাছ থেকে পারমিশন নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ও যদি কয়েকটা ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবিটা বানায়, সে ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। তবে ফারুকী যে বাবাকে, বাবার লেখাকে অসম্ভব ভালোবাসে সেটা আমি জানি। এখন ছবিটা দেখেই যা বলার বলব’
শীলার এই মন্তব্যের পর ফারুকী তার ফেসবুকে লিখেন, ‘আমি মনে করি শীলার মন্তব্য এই বিষয়ে শেষ কথাটা বলে দেয়। আমাদের তরফ থেকে আমি পরিষ্কার করে বলছি, ছবির ক্রেডিট বা ক্যাম্পেইনে বা কমিউনিকেশন ম্যাটেরিয়েলে আমরা কখনোই দাবি করি নাই বা করার কোনো সম্ভাবনাও নাই যে ‘আমরা হুমায়ুন আহমেদের বায়োপিক বানাচ্ছি”। আমরা কোনো বায়োপিক বানাচ্ছি না।’